বৈধ ঘাট থেকেই বালি তোলা হোক কিংবা অবৈধ ঘাট থেকে, ‘আন্ডারলোড’ হোক বা ‘ওভারলোড’, বালির গাড়ি চলাচলের জন্য বিশেষ ছাড়পত্র ‘প্যাড’ লাগবেই বীরভূমে। জেলায় এ এক অঘোষিত নিয়ম। বীরভূমে বালি কারবারিদের সঙ্গে কথা বললেই সে নিয়মের কথা জানা যায়। কিন্তু, বুধবার সকাল থেকে জেলা জুড়ে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) এবং সিবিআই হানার পরেই সেই ‘প্যাড পার্টি’-দের সাড়া নেই বলে জানা যাচ্ছে।
জেলায় বৈধ বালি কারবারিদের একাংশই বলছেন, ‘‘জোড়া হানায় আমরা স্বস্তি পেয়েছি। আপাতত প্যাড পার্টির উৎপাত নেই। তবে, আমরা জানি পরিস্থিতি ঠান্ডা হলেই প্যাড স্বমহিমায় ফিরবে। তখন গাড়ি প্রতি অতিরিক্ত টাকাও দিতে হবে।’’
জাতীয় পরিবেশ আদালেতের নির্দেশে নদী বক্ষ থেকে ইচ্ছে মতো বালি তোলায় ২০১৬ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে ই-অকশনের মাধ্যমেই নদী থেকে বালি তোলার অধিকার অর্জন করতে হয় লিজপ্রাপ্তদের। কিন্তু, সেই ‘বৈধ’ কারবারকে ঘিরে অভিযোগের অন্ত নেই। জেলায় বৈধ বালি ঘাটের সংখ্যা কমবেশি দেড়শো। তবে অভিযোগ, ‘বৈধতা’ কে ঢাল করে জেলার অজয়, ময়ূরাক্ষী, ব্রাহ্মণীর মতো নদী থেকে বেহিসেবি বালি ‘তোলা’ হয়। এর দোসর অবৈধ বেশ কিছু বালি ঘাট। সেখান থেকে শয়ে শয়ে বালির লরি-ডাম্পার জেলা ও জেলার বাইরে যাচ্ছে। সেই সব অতিরিক্ত বালি বোঝাই লরি যাতায়াতের মধ্যেই আসল রহস্য লুকিয়ে। আর সব কিছুর মূলে হল ‘প্যাড’ নামক সেই ছাড়পত্র। -বগটুই কাণ্ডের নেপথ্যেও বালি পাচারের লভ্যাংশের ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে লড়াইয়ের তত্ত্ব উঠে এসেছে সিবিআই তদন্তে। বিরোধীরা এই নিয়ে সরব হয়েছেন।