ভুবনডাঙায় এই পার্কের উদ্বোধন হবে আজ। —নিজস্ব চিত্র।
রবিজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের দান করা ভুবনডাঙার জমিতে অবশেষে গড়ে উঠল শিশু উদ্যান। আজ, শুক্রবার তার উদ্বোধন।
প্রভাতবাবুর স্ত্রী সুধাময়ীদেবীর স্মৃতিতে ওই এলাকায় একটি পুকুর-সহ লাগোয়া সাড়ে চার বিঘা জমি দান করে মুখোপাধ্যায় পরিবার। বোলপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের ভুবনডাঙার ওই এলাকাকে মানুষ সুধাসাগর নামেই এত দিন চিনতেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরা জানান, ওই জমির একটি অংশে ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সুধাসাগর শিশু উদ্যান করা হয়েছে। মুখোপাধ্যায় পরিবার তথা সুধাময়ীদেবীর অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে তাঁর নাম অনুসারে সুধাসাগর শিশু উদ্যানের নামকরণ।
বোলপুরে নারী শিক্ষার প্রচার, প্রসারে মুখোপাধ্যায় পরিবারের পাশাপাশি হংসেশ্বর রায় ও তাঁর স্ত্রী পঙ্কজিনী রায়ের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। মেয়েদের স্কুলমুখী করা থেকে শুরু করে তাঁদের জনকল্যাণমূলক নানা কাজ আজও এলাকায় মুখে মুখে ঘোরে। মুখোপাধ্যায় পরিবার তাঁদের ওই জমি এবং লাগোয়া পুকুর ১৯৯০ সাল নাগাদ দান করেন পুরসভাকে। পুরসভার আগে, বোলপুর ইউনিয়ন বোর্ডের সভাপতি ছিলেন প্রভাতবাবু। মুখোপাধ্যায় পরিবার বিশেষ করে সুধাময়ী দেবীর অবদানকে স্মরণীয় করে তুলতে কয়েক দশক ধরে উদ্যোগী হয় পুরসভা। বোলপুরের তৎকালীন উপপুরপ্রধান তথা ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিবিড় বন্দ্যোপাধ্যায় পরে তৃণমূলের ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীপা মাঝি, সুধাসাগর এবং লাগোয়া ওই জমিতে সংস্কার করে শিশু উদ্যানের জন্য উদ্যোগী হন।
শিশু উদ্যানকে সুদৃশ্য করে তোলা-সহ তাদের নাচ, গান এবং শরীরচর্চার জন্য রয়েছে নানা সরঞ্জাম। রয়েছে বোটের ব্যবস্থা। নানা পশুপাখি থেকে শুরু করে গাছগাছালি দিয়ে সাজানো হয়েছে উদ্যানটি। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাধিপতি, মন্ত্রী, পুরপ্রধান-সহ মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য অধ্যাপক সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায়ের থাকার কথা।
পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধাবাদ জানিয়েছেন সকলেই। তবে একই সঙ্গে অনেকের টিপ্পনি, ‘‘২৬ বছর প্রায় ফেলে রেখে বিধানসভা ভোটের আগে উদ্বোধন কেন?’’ তৃণমূল নেতারা অবশ্য এর মধ্যে রাজনীতি দেখতে নারাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy