উচ্ছ্বাস: নতুন মহকুমা পাওয়ার আনন্দে। ঝালদায়। নিজস্ব চিত্র
উন্নয়নের স্বপ্ন দেখিয়ে পথ চলা শুরু করল ঝালদা মহকুমা।
আপাতত পুরুলিয়া-রাঁচি রাজ্য সড়কের পাশে ঝালদা অচ্ছ্রুরাম স্মৃতি কলেজ চত্বরেই শুক্রবার থেকে কাজ শুরু হল ঝালদা মহকুমা শাসকের কার্যালয়। এ দিনই এই ভবনে কাজ শুরু করেছেন নতুন মহকুমাশাসক সন্দীপ টুডু। তিনি দু’টি আবাসিক শংসাপত্রেও স্বাক্ষর করেন। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘একদম নতুন অফিস। গোছানোর কাজ চলছে। তার মধ্যেই কাজও চলছে। সব গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে।’’
এ দিন সকালে ঝালদা ২ ব্লকের মুটুকুড়া গ্রাম থেকে এসডিও-র নতুন অফিসে এসেছিলেন রাজেশ মাহাতো। তাঁর আবাসিক শংসাপত্রের প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করে এ দিনই আবাসিক শংসাপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আগে বলে গেলেন, ‘‘এই কাজটুকুর জন্য এতদিন সেই পুরুলিয়া শহরে যেতে হতো। সারাটা দিন নষ্ট হতো। এ বার থেকে ঝালদাতেই এই কাজ পাচ্ছি। আমাদের খুব উপকার হল।’’
সকালে পুরুলিয়া সদরে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে দুপুরে ঝালদায় পৌঁছেই শংসাপত্রের জন্য অপেক্ষায় থাকা লোকজনের ফাইলে স্বাক্ষর করেন মহকুমাশাসক। তারপরে জরুরি কিছু ফাইলও দেখে নেন। ঝালদার পুরনো থানা যেখানে ছিল, সেখানেই মহকুমা পুলিশ অফিস তৈরির শেষ পর্বের কাজ চলছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঝালদাকে মহকুমা ঘোষণার যাত্রা শুরুর মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে এ দিন মিষ্টি বিলি করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। কাউন্সিলর প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘আজ খুশির দিন। চড়া রোদ উপেক্ষা করে মানুষ আনন্দে রাস্তায় নেমেছেন। ঝালদার দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হল।’’ ঝালদা শহর তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে আলাদা আলাদা করে এই স্মরণীয় দিনটি পালন করব।’’
পঞ্চকোট রাজবংশের প্রথম রাজধানী ছিল ঝালদা। সেই শুরু। তারপরে নানা ইতিহাসের রং লেগেছে ঝালদার গায়ে। পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা বাংলার এই ছোট্ট পুরশহরকে ঘিরে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখছেন বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy