Advertisement
E-Paper

প্রৌঢ়ার মৃত্যু, বিক্ষোভ

নিত্যানন্দ বলেন, “বাড়ি ফেরার পরেই মায়ের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। ২৩ মে আবার তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে ভর্তি করে নেওয়া হয়।’’ চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই বুধবার সকালে ওই নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় শ্যামলীর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৮ ০২:০০
বিক্ষোভ: বাঁকুড়ার নার্সিংহোমের সামনে ঝাঁটা হাতে ক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

বিক্ষোভ: বাঁকুড়ার নার্সিংহোমের সামনে ঝাঁটা হাতে ক্ষুব্ধ জনতা। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

প্রৌঢ়া র মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়া শহরের সিনেমারোড এলাকার একটি নার্সিংহোমের ঘটনা। মৃতের পরিজন ও পড়শিরা বুধবার ওই নার্সিংহোমে বিক্ষোভ দেখান।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতা শ্যামলী দাস (৫৬) বাঁকুড়া শহরের শিটপুকুর লেনের উপরতেলি গড়্যা এলাকার বাসিন্দা। শ্যামলীর ছেলে নিত্যানন্দ দাস জানান, গত ৮ মে পেটে যন্ত্রণা নিয়ে মাকে ওই নার্সিং হোমে ভর্তি করিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, চিকিৎসক তথা নার্সিংহোমের মালিক পরীক্ষা করে জানান, অস্ত্রোপচার করতে হবে। ৯ মে সেই অস্ত্রোপচার হয়। নার্সিংহোম থেকে ছাড়া হয় ১৫ মে। নিত্যানন্দ বলেন, “বাড়ি ফেরার পরেই মায়ের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। ২৩ মে আবার তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে ভর্তি করে নেওয়া হয়।’’ চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই বুধবার সকালে ওই নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় শ্যামলীর।

নিত্যানন্দর অভিযোগ, “ওই ডাক্তার শল্য চিকিৎসক নন। তা সত্বেও তিনি ঝুঁকি নিয়ে মায়ের অস্ত্রোপচার করেছেন। ভুল অস্ত্রোপচারের জন্য মায়ের মৃত্যু হয়েছে।” যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের মালিক নীলাঞ্জন কুণ্ডু। তিনি বলেন, “এমবিবিএস পাঠ শেষ করা থাকলে অস্ত্রোপচার করা যেতেই পারে। সাড়ে তিন দশক ধরে আমি অস্ত্রোপচার করে আসছি।” তাঁর পাল্টা দাবি, অস্ত্রোপচারের পরে এক সপ্তাহের বেশি সময় শ্যামলী বাড়িতে ছিলেন। ছুটি দেওয়ার সময়ে বেশ কিছু বিষয়ে তাঁকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিছু নিয়ম ভাঙাতেই অস্ত্রোপচারের জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে মত নীলাঞ্জনের। তাঁর দাবি, শ্যামলী অস্ত্রোপচারের জন্য অসুস্থ হননি। তাঁর মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে।

এ দিন শ্যামলীর মৃত্যুর পরে তাঁর পরিজন স্থানীয় লোকজন ওই নার্সিংহোমে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীরা নার্সিংহোম লক্ষ করে ইট ছোড়ে বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাঁকুড়ার উপ-পুরপ্রধান দিলীপ অগ্রবাল বলেন, “আমরা চাই শ্যামলীর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হোক। যদি চিকিৎসায় গাফিলতি ধরা পড়ে তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছি।” পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যালের এক কর্তা বলেন, “এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে কেউ অস্ত্রোপচার করতেই পারেন। তবে এ বিষয়ে তাঁর সঠিক জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকতে হবে। কোনও চিকিৎসকের সেটা রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বিষয়টি মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বোর্ড খতিয়ে দেখে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু করা হবে।”

Death Matronly Bankura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy