চলছে কর্মশালা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
শান্তিনিকেতনের ‘সবুজ অবুঝ’ এবং বিশ্বভারতীর বিনয়ভবনের শিক্ষাবিভাগের যৌথ উদ্যোগে বিনয়ভবনের সভাগৃহে একটি ‘ছড়া লেখার কর্মশালা’ হল বৃহস্পতিবার। কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন। কচিকাঁচাদের ছড়া লেখার পাঠ দেন বিশ্বভারতীর বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অমল পাল, ছড়াকার আশিস মুখোপাধ্যায় এবং কবি ও বাচিকশিল্পী অতনু বর্মন। শান্তিনিকেতন ও বোলপুর সংলগ্ন এলাকার ১০টি স্কুলের ৭১ জন ছাত্রছাত্রী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
শান্তিনিকেতনের ‘সবুজ অবুঝ’ গত বছরে চিঠির গুরুত্বকে তুলে ধরতে আয়োজন করেছিল চিঠি লেখার কর্মশালা। এ বছর শিশুদের মধ্যে ছড়ার জগৎকে বাঁচিয়ে রাখতে আয়োজন করা হয় ছড়া লেখার কর্মশালার। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শিশুসাহিত্যিক ও নাট্যকার মহম্মদ মোজহারুল হামিদ, কবি তড়িৎ রায়চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পী ও কবি অঙ্কন রায় এবং সোমজিৎ হালদার। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এই কর্মশালার পরে কচিকাঁচাদের মুখেও হাসি। পাঠ্যবইয়ের জগতের বাইরে এক দিনের ছড়ার জগতে আনন্দই পেল তারা।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য এই কর্মশালা প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত ৯ কিলোগ্রাম ৪০০ গ্রাম ওজনের ব্যাগের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এ রকম ব্যাগ ভর্তি না থাকলেও কল্পনা ভর্তি ছিল, ছড়া ভর্তি ছিল। ছড়া যেন সারা জীবন থাকে। সেটিই সকলকে সজীব রাখবে।’’ ছোটবেলায় ছড়া সম্পর্কিত বিভিন্ন স্মৃতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। এ বিষয়ে বিনয়ভবনের শিক্ষাবিভাগের বিভাগীয় প্রধান কানুচরণ সাহু জানান, এই বিভাগ থেকে ভবিষ্যতের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাচ্চারা যাতে স্বাভাবিক ভাবে বড় হয়ে উঠতে পারে সেই ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সকলের। বাচ্চাদের জগতের সঙ্গে বড়দের জগতের অনেক পার্থক্য। ছড়ার মধ্যে দিয়েই শিশুদের অনেকেই নিজেদের জগৎ পেয়ে থাকে বলে মনে করেন তিনি। সবুজ অবুঝ-এর তরফে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের সংস্থা সবসময় সৃজনশীল কাজে ব্রতী। বিশ্বভারতীর বিনয়ভবনের শিক্ষবিভাগকে সব সময় পাশে পেয়েছি। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই কর্মশালায় যোগ দিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy