সপ্তম শ্রেণির আদিবাসী ছাত্রীকে টুকরো করে কেটে খুনের ঘটনায় দেহ উদ্ধারের ১০ দিনের মাথায়, শুক্রবার জেলার এক আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ।
বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ এ দিন বলেন, “পুলিশ তথ্যপ্রমাণ সাপেক্ষে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। আমরাও চাই, অভিযুক্তের চরমতম সাজা হোক এবং দ্রুত হোক। সে মতোই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।” পুলিশ সুপারের দাবি, কিছু তদন্ত বাকি আছে। তদন্তে যা-যা পাওয়া যাবে, পর্যায়ক্রমে মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ করে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ ‘পকসো’য় মামলা হয়েছে। তফসিলি জাতি-জনজাতি আইনের ধারাও প্রয়োগ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত শিক্ষকের নামই মিলেছে বলেও পুলিশ সুপার জানান।
গত ২৮ অগস্ট গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে বেরিয়ে আর ফেরেনি ওই ছাত্রী। ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে একটি সেচখাল থেকে বস্তাবন্দি দেহাংশ মেলে তার। ঘটনায় নিহত-ছাত্রীর স্কুলেরই এক শিক্ষককে ধরে পুলিশ। অভিযুক্তকে এ দিন বিশেষ আদালতে তোলা হলে, ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
ছাত্রীর দেহাংশ উদ্ধারের পর থেকে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছিলেন নিহতের পরিবার, গ্রামবাসী এবং বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যেরা। পুলিশের উপরে চাপ ছিল, দ্রুত ঘটনার কিনারা করে চার্জশিট জমা দেওয়ার।
পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই ছাত্রীকে প্রথমে গলায় ছুরি ঢুকিয়ে মারা হয়। তার পরে হাত-পা কাটা হয়। পুলিশ ছাত্রীটির রক্তমাখা জামা অভিযুক্ত শিক্ষকের স্কুটারের আসনের নীচ থেকে উদ্ধার করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। ২৮ অগস্ট স্কুটারে চাপিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানোর সময় একটি দোকান থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীকে নতুন জামা কিনে দিয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। ওই দোকান থেকে পুলিশ জামা কেনার রসিদের ‘কার্বন কপি’ জোগাড় করেছে। তবে নিহতের দেহের অংশবিশেষ এখনও উদ্ধার হয়নি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)