E-Paper

বৃষ্টি ও লক্ষ্মীপুজোয় দুর্মূল্য আনাজ

রবিবার বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে বেগুন, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল, ঝিঙের মতো আনাজ চড়া দরে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:০৯
ইঁদপুরের বাংলা আনাজ বাজারে বেচাকেনা।

ইঁদপুরের বাংলা আনাজ বাজারে বেচাকেনা। নিজস্ব চিত্র ।

একে অতিবৃষ্টি, তার উপরে লক্ষ্মীপুজো। দুইয়ের জেরে রবিবার পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার বাজারগুলিতে চড়ল আনাজের দর। কিছু আনাজের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। আবার কিছু কিছু আনাজের দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা।

চলতি মরসুমে দেখা গিয়েছে কিছু দিন আবহাওয়া ঠিক থাকলে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফের বৃষ্টির পরে বাজার দর আকাশ ছুঁয়েছে।

রবিবার বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন বাজারে বেগুন, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পটল, ঝিঙের মতো আনাজ চড়া দরে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। পুজোর সময়ে বেগুন কেজি প্রতি কমবেশি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বাঁকুড়ায়। এ দিন প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। বরবটির দর এত দিন ৩০-৪০ টাকা থাকলেও এ দিন দাম বেড়ে হয় ৬০ টাকা। কাঁচা লঙ্কা, টোম্যাটোর মতো আনাজের দর যদিও নিয়ন্ত্রণে ছিল।

মূল্যবৃদ্ধির জন্য লাগাতার বৃষ্টিকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীকা। এ দিন বাঁকুড়ার পুরসভার বাজার, মাচানতলা বাজার, চকবাজারের বিক্রেতাদের একাংশ জানান, বৃষ্টির জন্য আনাজের জোগান কম রয়েছে। যে আনাজ বাজারজাত হচ্ছে তার একাংশ আবার খারাপ। স্বাভাবিক ভাবেই তা-ই দর বেড়েছে। বিষ্ণুপুর ও খাতড়ার বাজারেও একই ছবি ধরা পড়ে। ইঁদপুরের আনাজ বিক্রেতা লক্ষ্মীকান্ত করের কথায়, “ভাল আনাজ মেলা দায় হয়ে উঠেছে। আমদানি খুবই কম।”

লক্ষ্মীপুজোর আগে পুরুলিয়া শহরের বাজারেও আনাজের দর বেড়েছে। এ দিন একাধিক আনাজ পাঁচ থেকে ছ’টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। শহরের অন্যতম আড়ৎদার অনিল খান বলেন, “মূলত জোগান কম থাকাতেই আনাজের দর বেড়েছে। ক্রেতারাও অভিযোগ করেছেন।”

আনাজের বাজার আগুন হলেও অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে ফলের বাজার। ফলের দাম সে ভাবে বাড়েনি। বাঁকুড়ার ফল বিক্রেতারা জানান, জোগানে ঘাটতি নেই। আপেল থেকে নাসপাতি, কলা সবেরই দর দুর্গাপুজোর সময় যা ছিল, এ দিনও তা-ই রয়েছে। বিষ্ণুপুরের রসিকগঞ্জের ফল বিক্রেতা জয়দেব সিংহদেব বলেন, “দুর্গাপুজোর সময়ের দরই চলছে। লক্ষ্মীপুজোর জন্য আলাদা করে ফলের দর পড়েনি বা চড়েনি।”

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, “দাম পড়ুক বা চড়ুক লক্ষ্মীপুজোটা করতেই হবে। বছরে একটি পুজো হয় বাড়িতে। তা-ই পকেটে একটু টান পড়লেও সাধ্যমতো আয়োজন করার চেষ্টা করেছি।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

bankura

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy