বসেছে যন্ত্র। পুরুলিয়া থেকে ঝাড়খণ্ডের চন্দনকেয়ারি রাস্তায় নদীয়াড়া গ্রামের কাছে। —নিজস্ব চিত্র।
নিরাপত্তা জোরদার করতে জেলার বেশ কিছু জায়গায় স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট রিডার (এনপিআর) বসানোর কাজ শুরু করেছে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। প্রতিটি যন্ত্রের দাম ১,৮০,০০০ টাকা। ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজেও সাহায্য করবে এই যন্ত্র। ওই যন্ত্র তার ‘মেরোরি’তে ধরে রাখবে যানবাহনের নম্বর ও ছবি।
পুলিশ জানায়, জেলা জুড়ে কম-বেশি ১২৫টি নাকা পয়েন্ট রয়েছে। ৩৮০ কিমি বিস্তৃত ঝাড়খণ্ড সীমানায় নাকা চেক পোস্ট রয়েছে ১৪টি। সেগুলিতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলে। এ ছাড়াও, জেলায় আরও ১১১টি জায়গায় নাকা-তল্লাশি চলে। যেগুলির মধ্যে ২৩টি থানা এলাকায় দু’টি করে মোট ৪৬টি নাকা-পয়েন্ট রয়েছে। ঝাড়খণ্ড সীমানার ১৪টি কেন্দ্র ছাড়াও জেলায় কয়েকটি জায়গায় এই যন্ত্র বসানো হবে।
পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরুলিয়ার তিন দিকে ঝাড়খণ্ড সীমানা রয়েছে। এই বিস্তীর্ণ এলাকায় অপরাধ দমনের জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ অনেক জায়গায় এমন এক যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু হয়েছে, যা স্বয়ংক্রিয় ভাবে যানবাহনের নম্বর সংগ্রহ করতে পারে। পাশাপাশি সেগুলি সিসি ক্যামেরারও কাজও করবে। এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণও করতে পারব।’’
জেলার প্রবেশপথের অনেক জায়গায় এবং শহরাঞ্চলের কিছু এলাকায় সিসি ক্যামেরা না থাকায় অপরাধের কিনারায় বেশ বেগ পেতে হয় পুলিশকে। স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট রিডার বসানো হলে অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত গাড়ি দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে। অপরাধের কিনারা করতে সময় কম লাগবে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, পাড়া থানার দড়দা, পুরুলিয়া মফস্সলের ঘোঙা, আইমুণ্ডি, জয়পুরের কাঁঠালটাড়, ঝালদার তুলিন ও বলরামপুরের দাঁতিয়া এলাকায় ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে ওই যন্ত্র। বরাবাজারের সিন্দরি, বান্দোয়ানের দুয়ারসিনিতে কুঁচিয়া ক্যাম্পের কাছে এবং আরও বেশ কিছু জায়গায় ওই যন্ত্র বসানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy