রাস্তার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে কাজ। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা নির্মাণে এমনই অভিযোগ উঠেছে ময়ূরেশ্বরের বীরনগরী গ্রামে। অভিযোগকারীদের সমঝে দিতেই নির্মাণকারী সংস্থা রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ময়ূরেশ্বর থানার দাসপলশা পঞ্চায়েত এলাকায় দাসপলশা থেকে ঢেকা পঞ্চায়েত এলাকার চুঁয়াতরি মোড় পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় পাঁচ কিমি ওই রাস্তার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। রাস্তা নির্মাণের বরাত পেয়েছে শিলিগুড়ির একটি ঠিকাদারি সংস্থা। রাস্তার কাজ শুরু হতেই অনিয়মের অভিযোগ তোলেন গ্রামবাসী। তাঁদের অভিযোগ, খুব কম সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই রাস্তা করা হচ্ছিল। কাজের শিডিউল দেখতে চাইলে ঠিকাদারি সংস্থার লোকেরা মারমুখী হয়ে ওঠে। ওই ঠিকাদারদের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের যোগসাজস রয়েছে বলেও একাংশের দাবি।
সেই দাবিকে আবার সমর্থন করেছে বিজেপি। দাসপলশা পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য মুনমুন মণ্ডল এবং বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য বিশ্বজিৎ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘শাসকদলের নেতাদের মদতেই ঠিকাদার নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছেন। তাই প্রশাসনের সব স্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে অভিযোগ করায় ঠিকাদার বীরনগরী গ্রামের কাজই বন্ধ রেখেছে।’’
তৃণমূলের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি নারায়ণপ্রসাদ চন্দ্র দলের সঙ্গে ঠিকাদারের যোগসাজসের অভিযোগ মানতে চাননি। বরং তাঁর অভিযোগ, ‘‘আসলে বিজেপিই রাজনৈতিক উদ্দেশে আমাদের বদনাম করতে চাইছে।’’ রাস্তার কাজ নিয়ে আপোস করা হয়নি বলে দাবি ঠিকাদারি সংস্থার তরফে জলিল শেখের। তাঁর কথায়, ‘‘কই, এমন কোনও অভিযোগের কথা তো জানা নেই। অভিযোগের প্রতিলিপি না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলতে পারব না।’’ বীরনগরী গ্রামে রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে তা মেনেছেন ঠিকাদার। বন্ধ কেন? তা খোলসা করেননি তিনি।
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান জানিয়েছেন, অভিযোগের প্রতিলিপি পেলে ব্যবস্থা নেবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy