টানা কয়েক দিনের লড়াইয়ের পরে এসএসকেএম হাসপাতালে বোলপুরের রজতপুরের নির্যাতিতার মৃত্যু হল। সম্প্রতি ওই তরুণীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে পড়শি এক যুবকের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, তারপরেই মানসিক অবসাদে ওই তরুণী ১১ ডিসেম্বর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্কটজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে, তারপরে গত বৃহস্পতিবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। রবিবার রাতে অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হয়। সোমবার ভোররাতে মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় শোকের ছায়া গ্রামে। জমেছে জমাট ক্ষোভ। কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না নির্যাতিতার বাবা। কোনও রকমে বলেন, ‘‘মেয়েটা তো চলেই গেল। আর যেন কোনও বাবাকে এ রকম করে মেয়েকে হারাতে না হয়।’’ দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। ওই তরুণীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রি শেখ হাফিজুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আগেই। এ দিন তার কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা। পরিচিত, মেধাবী মেয়ের এমন পরিণতি বিশ্বাস হচ্ছে না তাঁদের কারও। মৃত্যুর খবর নানা ভাবে ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমতে থাকে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পথ অবরোধও হয়।
মৃতার দিদি বলেন, ‘‘বরাবরই চাপা স্বভাবের ছিল বোন। সেই জন্যেই হয়তো নিজের কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারেনি।’’ পরে যোগ করেন, ‘‘এ কোন পরিবেশে বেঁচে রয়েছি আমরা? বোনটাকে আর ফেরত পাবো না। কিন্তু, আর কারও সঙ্গে যেন এমন না হয়, এটুকুই প্রার্থনা করি।’’