শাসকদলকে নিশানা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। —ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে।’’ সামনে আবার একটি পঞ্চায়েত ভোট। এ বার রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তাঁর কথায়, ‘‘গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এবার উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে শুইয়ে দেব।’’ যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও।
রবিবার বাঁকুড়া শহরে একটি সাংগঠনিক বৈঠক করে বিজেপি। বৈঠক শেষে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ বলেন, ‘‘২০১৮ সালের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বাঁকুড়ার বিজেপি (শক্তির নিরিখে) এবং ২০২৩ সালের বাঁকুড়ার বিজেপির মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আশা করি, এ বার আর তৃণমূল রাস্তায় উন্নয়নকে দাঁড় করিয়ে রাখার সাহস পাবে না।’’ মন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘তার পরও উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে এবং একই রকম ব্যবহারের চেষ্টা করলে আমরা তাদের শুইয়ে দেব। তাদের মোকাবিলা করার জন্য সব রকম ভাবে আমরা তৈরি।’’
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ২০১৮ সালের মে মাসে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে অনুব্রত বলেছিলেন, বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে বেরোলে দেখবেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঘটনাচক্রে, এর পর বীরভূমের ৪২টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে ৪১টিতেই মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বিরোধীরা। যে এক জন মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছিলেন, তিনিও তা শেষমেশ প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। সামনে আবার একটি পঞ্চায়েত ভোট। তবে অনুব্রত এখন গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি।
অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মুখে এমন মন্তব্যের সমালোচনা করেছে তৃনমূল। তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (সুভাষ) খেয়েদেয়ে কাজ নেই। তিনি গত চার বছরে বাঁকুড়ার জন্য একটি কাজও করেননি। সাংসদ উন্নয়ন তহবিলের টাকাও খরচ করেননি। তাই এখন কোনও গ্রামে যেতে পারছেন না। উনি নিজেই শুয়ে পড়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy