শনিবার রাতেই খাতায়-কলমে এ বারের শ্রীনিকেতন মাঘ মেলা শেষ হয়েছে। কিন্তু রবিবারও মেলায় চলল অবাধে বেচাকেনা। বহু মানুষকে মেলায় ভিড় জমাতেও দেখা যায় এ দিন। যদিও এনিয়ে বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব শুরু হয় বৃহস্পতিবার থেকে। চলে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। স্থানীয় মানুষজনের কাছে এই উৎসবের আরেক নাম শ্রীনিকেতন মেলা বা মাঘ মেলা। বৃহস্পতিবার এই মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ১৯২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কুঠিবাড়িতে শুরু হয়েছিল কবির গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচী। তারপর তৈরি হয় শ্রীনিকেতন। এর পরের বছর, ১৯২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীনিকেতনের বার্ষিক উৎসব শুরু হয়। সেই থেকে শ্রীনিকেতনের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীনিকেতন বার্ষিক উৎসব হয়।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী থাকাকালীন নানা কারণ দেখিয়ে এই মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হতেই গত বছর থেকে এই মেলা ফের শুরু হয়। বর্তমান বর্ষে নানা উৎসব অনুষ্ঠান ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপে শ্রীনিকেতন বার্ষিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সেই মেলা শনিবার রাতেই শেষ হয়। রবিবার সেই মেলা উঠে যাওয়ার কথা থাকলেও মেলা ওঠা তো দূর, মেলায় এ দিন দেদার বেচাকেনা হয়। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “প্রতি বছর এই মেলা তিন দিনের হয়ে থাকে। এ বছর নির্ধারিত সময়েই মেলা উঠে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন উঠল না তা নিয়ে আমরাও অন্ধকারে। এনিয়ে ট্রাস্টকেও কোনও রকম কিছু জানানো হয়নি।”
এ নিয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)