Advertisement
E-Paper

পুরনো রাগ ছিল রুবির, বলছে পাড়া

পাঁচ বছরের হাসিখুশি শিবমের এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না ওই এলাকার মানুষজন। তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে পুলিশের উপরেও।

বাসুদেব ঘোষ 

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:২৬
শিবমের মা মমতা।

শিবমের মা মমতা। নিজস্ব চিত্র।

নিষ্পাপ এক শিশু কেন এমন নৃশংস ভাবে হত্যা করা হল, এই প্রশ্নই হাতড়ে বেড়াচ্ছে শান্তিনিকেতন থানার মোলডাঙাপাড়া। পাঁচ বছরের হাসিখুশি শিবমের এমন মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না ওই এলাকার মানুষজন। তাঁদের ক্ষোভ রয়েছে পুলিশের উপরেও। রবিবার থেকে নিখোঁজ শিশুর সন্ধান পেতে কেন ব্যর্থ হল পুলিশ, সে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দা ও নিহত শিশুর পরিবার।

তবে, গ্রামবাসীদের যাবতীয় আক্রোশ শিবম খুনে অভিযুক্ত রুবি বিবির উপরে। মঙ্গলবার দুপুরের পরে এই মহিলার একতলা বাড়ির অ্যাসবেস্টসে ছাদ থেকেই উদ্ধার হয় শিবমের বস্তবন্দি দেহ। তার পরেই জনরোষ আছড়ে পড়ে ওই বাড়ির উপরে। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে পুরনো আক্রোশ বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে রুবির বিয়ে হয়েছিল এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে। তাঁর তিন বছরের সন্তান আছে। স্বামীর সঙ্গে প্রায় অশান্তির কারণে রুবি সন্তান সহ বাপের বাড়িতে চলে এসে বাবা আবু শেখ ও মা সুফিখা বিবির সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।

এরই মাঝে শিবমের বাবা শম্ভু ঠাকুরের সেলুনে কাজ করা এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় রুবির। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, দু’জনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তা নিয়ে এলাকায় আপত্তি ছিল। ঘটনার মীমাংসার জন্য রুবির পরিবার মোটা টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মীমাংসা। রাজি না হওয়ায় রুবি ওই যুবককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেন। সেই সময় ঘটনার প্রতিবাদ করেন শিবমের বাবা। তখন থেকেই শম্ভুদের পরিবারের প্রতি রুবির আক্রোশ জন্মায় বলে স্থানীয়দের দাবি। এমনকি রুবি তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দা মাধবী ভৌমিক, আদুরি বাগদিদের দাবি, “পুরনো আক্রোশের বসেই রুবি নিষ্পাপ শিশুকে খুন করেছে বলে আমাদের সন্দেহ। আমরা ন্যায়বিচার চাই।” কল্যাণী ভৌমিক, মিনু ভৌমিকরা বলে, ‘‘দোষীর চরম সাজা চাই। ওই মেয়ের মনে যে এ রকম কিছু একটা ছিল, তা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনি। পুরনো আক্রোশ থাকতেই পারে, তা বলে ওই পরিবারের শিশুসন্তানকে খুন করে ফেলতে হবে?’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রুবি বিবি গ্রেফতার হলেও তাঁর বাবা-মা পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এলাকার মানুষের কাছে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির ছোঁয়াও। বিজেপি-র আইটি সেলের তরফে এ দিন সন্ধ্যায় জানানো হয়েছে, আজ, বুধবার এই হত্যার প্রতিবাদে ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসবেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

santiniketan Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy