Advertisement
E-Paper

ছাত্রের গড়া মূর্তিতেই পুজো স্কুলে

বিশ্বজিতের তৈরি চার ফুটের প্রতিমার শাড়ি, অলঙ্কার সবই মাটির। বাঁশ, কাঠ, খড়, চটের বস্তা দিয়ে কাঠামো গড়ে মূর্তি তৈরিতে সে সময় নিয়েছে দু’সপ্তাহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:২৯
শেষ মুহূূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিশ্বজিৎ দাস। ছবি: সঙ্গীত নাগ

শেষ মুহূূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিশ্বজিৎ দাস। ছবি: সঙ্গীত নাগ

নিজের খেয়ালেই মূর্তি গড়েছিল নিগমানন্দ আশ্রম হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র বিশ্বজিৎ দাস। চেয়েছিল, সেই মূর্তিই স্কুলে পুজো করা হোক। তাতে রাজি হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষক সুকুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘স্কুলের ছাত্রেরই গড়া সরস্বতী মূর্তিই স্কুলে পুজো করা হবে। এই উদাহরণ খুব একটা বেশি মেলে না। ছেলেটির সৃজনশীলতাকে স্বীকৃতি দিতেই এই সিদ্ধান্ত।”

আদ্রার আড়রা গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ছোট থেকেই আঁকা ও মাটির পুতুল গড়ে। তার কথায়, ‘‘আগে বরাবর সরস্বতী পুজোর আগে রঘুনাথপুর শহরে দাসপাড়ায় মামার বাড়িতে যেতাম। সেখানেঅনেকেই মূর্তি বানান। তাঁদের দেখে মূর্তি তৈরি শিখেছি।”

বিশ্বজিতের তৈরি চার ফুটের প্রতিমার শাড়ি, অলঙ্কার সবই মাটির। বাঁশ, কাঠ, খড়, চটের বস্তা দিয়ে কাঠামো গড়ে মূর্তি তৈরিতে সে সময় নিয়েছে দু’সপ্তাহ। খরচ হয়েছে কম-বেশি এক হাজার টাকা। খরচ জুগিয়েছেন তার বাবা রঘুনাথপুরের এক পেট্রল পাম্পের কর্মী মধুসূদন দাস। তিনি বলেন, ‘‘ছোট থেকেই মাটি দিয়ে পুতুল তৈরির ঝোঁক ছিল ছেলের। নিজের খেয়ালেই পুতুল গড়ত। কয়েক বছর ধরে পড়াশোনার ফাঁকে গড়েছে কালী, লক্ষ্মী ও বিশ্বকর্মার মতো নানা দেবদেবীর মূর্তি। এ বার সরস্বতী মূর্তি বানিয়েছে। ও চেয়েছিল, স্কুলে সেই মূর্তির পুজো হোক। ওর ইচ্ছার মর্যাদা দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।”

বিশ্বজিতের গড়া মূর্তি দেখতে এসেছিলেন স্কুলের শিক্ষক বীরেশ লায়েক, কাঞ্চন মাজিরা। বীরেশ বলেন, ‘‘মূর্তিটি দেখে পছন্দ হয়েছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিশ্বজিতের ইচ্ছার কথা জানিয়ে ওই মূর্তিটিই স্কুলে পুজো করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম।’’

Saraswati Puja 2023 Adra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy