কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ব্যাপারে মহকুমাশাসক ও রঘুনাথপুরের বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা হলেও এসডিও কোর্টের অচলাবস্থা কবে কাটবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না। মঙ্গলবার বৈঠকের পরে বারের তরফে জানানো হয়েছে, রঘুনাথপুর মহকুমা প্রশাসনের সঙ্গে তাঁদের একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। এরপরে তাঁরা নিজেদের মধ্যে ফের আলোচনায় বসে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ক্ষেত্রে বারের একাংশ চাইছেন, প্রশাসন তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ জানাক। তবে সে দিকে যে প্রশাসন যাবে না, তা আধিকারিকদের অনেকেই জানাচ্ছেন। রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক দেবময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনাই হয়েছে। তাদের দাবি, সমস্যা ইত্যাদি জানিয়েছেন। কিন্তু কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার বিষয়ে আইনজীবীরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।” প্রশাসনের তরফে বার অ্যাসোসিয়েশনকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনও অনুরোধ জানানোর দিকে তাঁরা যাবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মহকুমাশাসক। ফলে প্রায় সাত সপ্তাহ ধরে চলা বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি মেটার আপাতত লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসকের দফতরের কোর্টের এসডিইএমরা সময়মতো এজলাসে বসেন না। একজন এসডিইএম আইনজীবীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, এই অভিযোগ তুলে গত ১২মে থেকে মহকুমাশাসকের কোর্টের তিনটে এজলাসই বয়কট শুরু করেছেন রঘুনাথপুর আদালতের আইনজীবীরা। কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েই এই বয়কট বা কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এতে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বিচারপ্রার্থীদের। এই প্রেক্ষিতেই এ দিন দুপুরে মহকুমাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বলেছিলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তপনকুমার মাজি বলেন, ‘‘মহকুমাশাসকের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনাই হয়েছে। তবে কবে থেকে মহকুমাশাসকের কোর্টে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy