বান্দোয়ানের কুচিয়ায় সরব স্বনির্ভর দলের সদস্যেরা। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো
ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের টাকা পেতে বারবার হয়রান হতে হচ্ছে। শেষমেষ জেলাশাসককে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্বনির্ভর দলের সদস্যারা। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের কুচিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঘটনা। জেলাশাসক রাহুল মজুমদার দ্রুত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন।এ দিন বান্দোয়ান ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় নানা সরকারি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক। এ দিকে, বেশ কয়েকদিন থেকে বান্দোয়ানের লতাপাড়া এলাকার স্বনির্ভর দলের মহিলারা ব্যাঙ্ক থেকে সময়মতো ঋণের টাকা পাচ্ছিলেন না বলে ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন। সেই সমস্যার কথা জানতে পেরে এ দিন কুচিয়ার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় যান জেলাশাসক। সে সময়ে স্বনির্ভর দলগুলির সদস্যারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জেলাশাসককে সামনে পেয়ে লতাপাড়া গ্রামের ‘লতা করুণাময়ী স্বনির্ভর দল’-এর সরস্বতী কুম্ভকার অভিযোগ করেন, ‘‘ঋণের টাকা ঢুকেছে জানতে পেরেছি। কিন্তু প্রতিদিন ঘুরে যেতে হচ্ছে। ব্যাঙ্কে এলেই বলা হচ্ছে, ‘আজ টাকা দেওয়া হবে না। কাল আসবেন, কাল টাকা পাবেন’। এ ভাবে আট দিন ব্যাঙ্কে এসে ঘুরে যেতে হচ্ছে।’’
ওই গ্রামেরই ‘সবুজসাথী মহিলা স্বনির্ভর দল’-এর নয়নমণি কুম্ভকারও প্রশ্ন করেন, “ঋণের টাকা নিয়ে বিভিন্ন আনাজ চাষ করা হয়। তা ছাড়া, অন্য কাজে লাগানো হয়। কিন্তু ঠিক সময়ে যদি ঋণের টাকা না মেলে, তা হলে শোধ দেব কী করে? টাকা তুলতেই যদি সব কাজ ছেড়ে এক সপ্তাহ ধরে ঘুরতে হয়, তা হলে কাজগুলো কী ভাবে করব?”পরে জেলাশাসক বলেন, “ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, স্বনির্ভর দলের মহিলাদের ঋণের টাকা তুলতে যাতে অযথা হয়রান না হতে হয়।’’ যদিও ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার আকাশ শোয়ের বক্তব্য, ‘‘স্বনির্ভর দলের ঋণের টাকা দেওয়ার কাজ চলছে। ‘ইন্টারনেট’ না থাকায় কোনও কোনও সময়ে সমস্যায় পড়তে হয়। পুজোর আগেই সকলে ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy