Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Anubrata Mondal

কেষ্টকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো শিবঠাকুরের বিরুদ্ধেই চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ!

বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনার আবহে তাঁর বিরুদ্ধে ‘গলা টিপে খুনের চেষ্টা’র চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন শিবঠাকুর।

অনুব্রত মণ্ডল।

অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪১
Share: Save:

অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ‘গলা টিপে খুনের চেষ্টা’র অভিযোগ তোলা সেই শিবঠাকুর মণ্ডলের বিরুদ্ধেই এ বার প্রতারণার অভিযোগ উঠল। চাকরি দেওয়ার নামে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছেন শিবকুমার। তিনি সেই চাকরি তো দিতেই পারেননি, উল্টে ফেরত দেননি টাকাও। এমনই অভিযোগ তুলেছেন বীরভূমের বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মেজে গ্রামের বাসিন্দা দীপক কুমার মণ্ডল। যদিও শিবকুমারের পাল্টা দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। উল্টে অভিযোগকারীর থেকেই প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পান তিনি।

বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির অনুব্রতের দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনার আবহে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন শিবঠাকুর। যার জেরে এখন দুবরাজপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন শাসকদলের নেতা। তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে জেলার রাজনীতিতে। কারণ, এক কালে শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান থাকা শিবের অভিযোগের কারণেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা পিছিয়ে গিয়েছে। এ বার সেই শিবঠাকুরের বিরুদ্ধে পেশায় এলআইসি কর্মী দীপক কুমারের দাবি, ‘‘আমার ছেলেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েছেন শিবকুমার। ছেলে সেই চাকরি পায়নি। বার বার টাকা চাওয়া সত্ত্বেও শিবকুমার টাকা ফেরত দেননি।’’

দীপকের আরও দাবি, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে শিবকুমারের সম্পর্ক ভাল ছিল। তা দেখেই টাকা দিয়েছিলাম। শুধু আমার থেকে নয়, এলাকায় আরও মানুষের থেকে টাকা তুলেছেন শিবকুমার।’’

এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন শিবকুমার। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং, আমি ওঁর থেকে টাকা পাব। উনি নিজেই ঋণে জর্জরিত। এক বার ওঁর গাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তখন আমিই ওঁকে বাঁচিয়েছিলাম। ঠিকাদারির কাজ করার জন্য প্রধান থাকাকালীন আমি ওঁকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। দেড় লক্ষ টাকা শোধ করেছেন। এখনও সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা পাই। উনি এখন বিজেপি করেন। তাই, আমার বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগ করছেন।’’

তৃণমূল সূত্রে দাবি, শিবঠাকুর এক সময়ে তৃণমূলেই ছিলেন। বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েতে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা ওঠায় দল বাঁচিয়েছিল শিবঠাকুরকে। পরে অবশ্য তাঁকে প্রধানের পদ ছাড়তে হয়। বহিষ্কারও করা হয় দল থেকে। ঠিক তার বছর দু’য়েক পর আবার পঞ্চায়েত প্রধান হন শিবঠাকুর। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি অন্য দলে চলে যাওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করায় দুবরাজপুরের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে তাঁকে ‘গলা টিপে প্রাণে মারা’র চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তাঁর এই অভিযোগ ঘিরে এখন উত্তাল জেলার রাজনীতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Anubrata Mondal Birbhum
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE