Advertisement
E-Paper

শো-কজ় করল জেলা তৃণমূল

রঘুনাথপুর ১ ব্লক কমিটি ও অঞ্চল কমিটি গঠন নিয়ে প্রকাশ্য়েই সভা করে দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত ‘তোপ’ দেগেছিলেন মিহিরবাবু।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০৫:১৪
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ব্লক কমিটি ও অঞ্চল সভাপতি গঠন নিয়ে জেলার সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় প্রকাশ্য়েই সরব হয়েছিলেন পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ১ ও ঝালদা ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতিরা। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, তাতে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ হয়েছে। তাই দলের রঘুনাথপুর ১ ব্লক সভাপতি মিহির বাউড়ি ও ঝালদা ২ ব্লক সভাপতি সুনীল কুমারকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিলেন তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি গুরুপুদ টুডু। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই নোটিস পাঠানো হয়েছে। জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই দলের শৃঙ্খলার পরিপন্থী বিষয় মানা হবে না। তাই জেলা সভাপতি দুই নেতাকে শো-কজ় করেছেন।” গুরুপদবাবু বলেন, ‘‘সাত দিনের মধ্য়ে উত্তর না দিলে, পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

রঘুনাথপুর ১ ব্লক কমিটি ও অঞ্চল কমিটি গঠন নিয়ে প্রকাশ্য়েই সভা করে দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত ‘তোপ’ দেগেছিলেন মিহিরবাবু। জানিয়েছিলেন, জেলা থেকে পঠানো অঞ্চল কমিটির সভাপতিদের একাংশকে তাঁরা মানছেন না। এমনকি, পাল্টা কমিটি গঠন করার প্রস্তুতিও শুরু করেছেন। তিনি দাবি করেছিলেন, নিজের প্য়াডে ব্লকের অঞ্চল সভাপতিদের নামের তালিকা জেলায় পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কিছু বদল করে জেলা নেতৃত্ব। ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর’ কিছু নেতার ‘চক্রান্তের’ ফলেই এই বদল বলে অভিযোগ মিহিরবাবুর।

মিহিরবাবু বলেন, ‘‘শো-কজ়ের জবাব নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য়েই দলকে দেব। ব্লকে কী পরিস্থিতি চলছে, সেখানেই সে বিষয়ে বিশদে জানাব।” তবে তিনি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন বলে মানতে নারাজ রঘুনাথপুর ১ ব্লকের সভাপতি। তাঁর সভার পরে একই জায়গায় পাল্টা সভা করেছিলেন ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর’ নেতারা। তাঁদের মধ্যে জেলা তৃণমূলের সম্পাদক মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মিহিরবাবু দল-বিরোধী কাজ করে ২০১৩ সালে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। আবার একই কাজ করে শো-কজ়ের চিঠি পেলেন।’’

অন্য় দিকে, ঝালদা ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সুনীল কুমার জেলা নেতৃত্বকে ‘অগ্রাহ্য়’ করে কর্মী সম্মেলন করেছেন। সেখানে ব্লক কমিটির সদস্য়দের তালিকা স্থির করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সে প্রেক্ষিতেই তাঁকে শো-কজ় করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দলের নেতা-কর্মীদের একাশের দাবি, ব্লক কমিটি গঠন নিয়ে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে সুনীলবাবুর টানাপড়েন চলছিল। সে সমস্য়া মিটিয়ে সমস্ত নেতা-কর্মীকে নিয়ে সম্মেলনের দিন স্থির করার জন্য় জেলা থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূলের জয়পুর বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর সুষেণ মাঝিকে। তিনি সুনীলবাবুকে নিয়ে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুনীলবাবু যাননি।

তৃণমূল সূত্রের খবর, পরে অন্য় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে, আগামী ১৭ নভেম্বর কর্মী সম্মেলনের দিন স্থির করেন সুষেণবাবু। কিন্তু তার আগেই, ১২ নভেম্বর সুনীলবাবু কর্মী-সম্মেলন করেন। সেখানেই ব্লক কমিটির সদস্য়দের তালিকা স্থির করে সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে দেন বলে দাবি তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের। তবে সুনীলবাবু বলছেন, ‘‘১২ নভেম্বরের সভা দলের সঙ্গে কথা বলেই স্থির করেছিলাম। তার আগের দিন সভা বাতিল করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল তখন। বাতিল করলে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে বলেই সভা করেছিলাম।” ব্লক কমিটির তালিকা সামাজিক মাধ্যমে তিনি দেননি বলেও দাবি করেছেন সুনীলবাবু।

TMC Party Politics Show Cause
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy