Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
নাম না করে কটাক্ষ অনুব্রতকে
Politics

জেলা নেতৃত্বে ‘ক্যান্সার’, তোপ এ বার সিদ্দিকুল্লার

বীরভূমের সদাইপুরের চাতরা মসজিদ প্রাঙ্গণে শুক্রবার ছিল জমিয়তের প্রতিনিধি সভা।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ০৩:১৮
Share: Save:

বিধানসভা ভোটের আগে বীরভূমে শাসক শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়ল। জেলায় দলের নেতা ও মন্ত্রীদের সঙ্গে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের প্রকাশ্যেই বিরোধের ঘটনা নিয়মিত তৃণমূলের বিড়ম্বনার কারণ হচ্ছে। এ বার অনুব্রতের ওই আচরণের জন্যই নাম না করে তাঁকে ‘ক্যান্সার’-এর সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি যে ভাবে একের পর এক নেতাকে ‘হেনস্থা’ করে চলেছেন, বিধানসভা ভোটের জন্য প্রার্থী ঠিক করে নাম বলে দিচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তার বিচারও চেয়েছেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা। এ সবের প্রতিক্রিয়ায় অনুব্রত কেবল বলেছেন, ‘‘কে কী বলল, তাতে কিছু যায় আসে না।’’

বীরভূমের সদাইপুরের চাতরা মসজিদ প্রাঙ্গণে শুক্রবার ছিল জমিয়তের প্রতিনিধি সভা। শারদোৎসবের আগে অসহায় কিছু মানুষের হাতে উপহার ও সহায়তা তুলে দেওয়া এবং পরিবেশের স্বার্থে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও ছিল সেখানে। সেই অনুষ্ঠানের পরে সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘‘বীরভূম জেলার এক ব্যক্তি মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম, আউশগ্রামকেও নাস্তানাবুদ করে দিয়েছেন। এটা ক্যান্সার! যত ক্ষণ বীরভূমে এই নেতৃত্ব থাকবেন, রোগ থাকবে। একটা পচা আলু এক বস্তা ভাল আলুকেও নষ্ট করে দেয়!’’ কয়েক দিন আগে এক কর্মিসভায় রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী ও রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অনুব্রতের ‘অপদার্থ’ মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেছেন সিদ্দিকুল্লা।

মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক হলেও সেখানকার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বনিবনা নেই মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লার। স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারেবারেই তাঁর প্রতি অসহযোগিতার অভিযোগ করেছেন সিদ্দিকুল্লা। স্থানীয় ও জেলা তৃণমূলের এমন মনোভাবের প্রেক্ষিতে আগামী বিধানসভা ভোটে ফের শাসক দলের টিকিটে তাঁর প্রার্থী হওয়া উচিত কি না, তা ভেবে দেখার জন্য একটি কমিটিও গড়েছে জমিয়তের রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটি। সিদ্দিকুল্লা এ দিনও অনুব্রতের নাম না করে বলেছেন, ‘‘এক জন জেলায় প্রার্থী ঘোষণা করে দিচ্ছেন! দলনেত্রীর কাজ উনি করছেন! তৃণমূল নেতৃত্বকে বলছি, এক জনের জন্য এত ছাড় দেওয়া হয়েছে কেন? সাহস করে হাল ধরুন! মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেকের কাছে আমাদের আবেদন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময়ে এই জিনিস চলতে পারে না। আপনারা এ দিকটা দেখুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

politics Siddiqullah Chowdhury
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE