Advertisement
E-Paper

মাকে খুনে ধৃত ছেলে

মদ খেয়ে বাড়ি ঢুকে স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা-বাবাকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতেন। তার জেরে দুই নাবালক ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন স্ত্রী। এ বার বৃদ্ধা মাকেই খুন করার অভিযোগ উঠল সেই ছেলের বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩২
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহতের মেয়ে। ছবি:অনির্বাণ সেন।

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহতের মেয়ে। ছবি:অনির্বাণ সেন।

মদ খেয়ে বাড়ি ঢুকে স্ত্রী ও বৃদ্ধ মা-বাবাকে মাঝে মধ্যেই মারধর করতেন। তার জেরে দুই নাবালক ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন স্ত্রী। এ বার বৃদ্ধা মাকেই খুন করার অভিযোগ উঠল সেই ছেলের বিরুদ্ধে।

সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ার কুমরোতোর গ্রামে। পুলিশ জানায়, নিহত বৃদ্ধার নাম আশা মাহারা (৬৫)। বাড়ি কুমরোতোর। আশাদেবীর বড় ছেলে সন্তোষের অভিযোগের ভিত্তিতে মনোতোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ওই দিনই ধৃত মনোতোষকে সিউড়ি আদালতে তোলা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কুমরোতোর গ্রামের আনন্দ মাহারার তিন ছেলে। বড় ছেলে সন্তোষ আর মেজ ছেলে বিনয় আলাদা থাকেন। ছোট ছেলে মনোতোষ পরিবার নিয়ে মা-বাবার কাছেই থাকতেন। গ্রামবাসী থেকে পরিবারের সকলের অভিযোগ, প্রতিদিন মদ খেয়ে বাড়িতে মা-বাবা ও স্ত্রী-র সঙ্গে ঝামেলা হত তাঁর। পড়শিদের অভিযোগ, মারধরও করতেন মনোতোষ। স্বামীর অত্যাচারে শেষ পর্যন্ত দুই নাবালক ছেলেকে সঙ্গে করে কয়েক মাস আগে বাবার বাড়ি চলে যান স্ত্রী সারথি। এ দিন শাশুড়ির মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়ি আসেন। কথায় কথায় তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামী কোনও কাজ করতেন না। মদ খাওয়ার টাকা চেয়ে প্রায়ই অশান্তি করত। মারধর করত। বাধ্য হয়ে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে ফেলে ছেলেদেরকে নিয়ে কাছেই পরিহারপুরে বাবার বাড়ি চলে গিয়েছিলাম।’’

মনোতোষের বাবা আনন্দবাবু জানান, ঘটনার সময়ে তিনি বাড়ি ছিলেন না। মনোতোষের দাদা সন্তোষ অবশ্য সরাসরিই অভিযোগ করছেন, ‘‘ভাই-ই মদ খেয়ে মাকে মেরেছে।’’ ভায়ের বিরুদ্ধে সাঁইথিয়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন সন্তোষ। তার ভিত্তিতেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, ধৃত মনোতোষ মাকে খুনের কথা মানতে চায়নি। আশাদেবীর শরীরেও প্রাথমিক ভাবে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তদন্তকারী এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘চোখের কাছে একটু দাগ আছে মাত্র।’’ পুলিশ অবশ্য সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছে।

son murder
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy