Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Son in law shoots Father in law

পারিবারিক বিবাদের জের, বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি জামাইয়ের, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

শনিবার রাতে বাজার থেকে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন মঙ্গল বায়েন। পথে সাইকেল থামিয়ে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ডান হাত এবং পাঁজরে গুলি লাগে।

Image of Rampurhat medical college and hospital

রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৩:৪৪
Share: Save:

পারিবারিক বিবাদের জেরে শ্বশুরকে গুলি জামাইয়ের। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজার ও উওর মাঝারি পাড়ার মাঠে। আহত শ্বশুরের নাম মঙ্গল বায়েন। ধৃত অভিযুক্ত জামাই অনুপ বায়েন।

আনুমানিক বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ় এ দিন সন্ধিগড়া বাজার থেকে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে অনুপ বায়েন নামে ষাটপলসা গ্রামের বাসিন্দা মঙ্গলের জামাই বুকের ডান দিকে গুলি করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। আহত মঙ্গলকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলের ডান হাত ও পাঁজরে গুলি লেগেছে। হাসপাতালে মঙ্গলের এক্স রে করা হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে হাজির হন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র-সহ মল্লারপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

শ্বশুরের সঙ্গে জামাই অনুপের দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক ভাল না। মাঝেমাঝেই তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির আত্মীয় স্বপন দাস বলেন, ‘‘জামাই মঙ্গলের বাড়িতেই ঘরজামাই থাকতেন। মঙ্গলের ট্র্যাক্টর চালাতেন। সম্প্রতি সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। তার পর থেকে জামাই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতেন না। সম্পত্তি নিয়ে গোলমালের কারণেই সে শ্বশুরকে গুলি করেছে।’’

শনিবারই গভীর রাতে রামপুরহাট পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালিশারা পাড়া থেকে অভিযুক্ত অনুপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে। তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করবে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shoot out arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE