Advertisement
E-Paper

Visva Bharati: বিশ্বভারতী কি খুলবে, অপেক্ষায় পড়ুয়ারা

করোনা সংক্রমণের পরিমাণ যেহেতু রাজ্যভেদে আলাদা, তাই অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রভৃতি খোলার সিদ্ধান্ত রাজ্য প্রশাসনের উপরেই নির্ভর করছে।

সৌরভ চক্রবর্তী

সৌরভ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২১ ০৯:০০
এমনই অবস্থা বিশ্বভারতীর একটি হস্টেলের।

এমনই অবস্থা বিশ্বভারতীর একটি হস্টেলের। ফাইল চিত্র।

আগামী ১৬ নভেম্বর রাজ্যের স্কুল-কলেজ খুলবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্বাভাবিক পঠনপাঠন হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষ ঝাড়পোঁছ থেকে শুরু করে স্কুলে জীবাণুনাশ করার কাজও শুরু হয়েছে জোরকদমে। তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতীতেও ওই দিন থেকে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।

করোনা সংক্রমণের পরিমাণ যেহেতু রাজ্যভেদে আলাদা, তাই অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রভৃতি খোলার সিদ্ধান্ত রাজ্য প্রশাসনের উপরেই নির্ভর করছে। বেশ কয়েকটি রাজ্যে সেখানকার প্রশাসনের সিদ্ধান্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। সেখানে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, উপাচার্য ও আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক করে বা কর্মসমিতির বৈঠক করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যদিও বিশ্বভারতীর এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের লিখিত নির্দেশিকা এখনও তাঁদের হাতে এসে পৌঁছয়নি।

তবে, বিশ্বভারতীর পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের একাংশের মতে, রাজ্যের সিদ্ধান্ত মেনে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু করতে হলে বিশ্বভারতীর ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসগুলি। বিশ্বভারতীর বিদ্যালয় স্তর ও উচ্চতর স্তরে একটি বিরাট অংশের ছাত্রছাত্রীই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন। সেখানে প্রত্যেককে পৃথক কক্ষ দেওয়াও সম্ভব নয়, তাই সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবেই। অন্য দিকে হস্টেল না-খুলে শুধু পড়াশোনা শুরু হলে পড়ুয়াদের একটি অংশ বঞ্চিত হবে। এই পরিস্থিতিতে সব দিক খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন। তবে রাজ্যের সিদ্ধান্ত মেনে বিশ্বভারতী খোলার সম্ভাবনাই বেশি বলেও তিনি জানান তিনি।

সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিশ্বভারতী খোলার পক্ষেই মতপ্রকাশ করেছেন অধিকাংশ পড়ুয়া। বাংলা বিভাগের গবেষক সুমন্ত পাল, জাপানিজ় বিভাগের ছাত্র মুক্ত ঘোষ, ভূগোল বিভাগের ছাত্র প্রত্যুষ মুখোপাধ্যায়রা বলেন, “বিশ্বভারতীতে অবশ্যই স্বাভাবিক পঠন-পাঠন শুরু হওয়া উচিত। দীর্ঘদিন অনলাইনে পড়াশোনা চলার পরে বিভাগে গিয়ে পড়াশোনা শুরু হলে সার্বিক মানোন্নয়নের পাশাপাশি বন্ধুদের সাহচর্যও মিলবে, দীর্ঘ একঘেয়েমি অনেকটাই দূর হবে।”

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy