E-Paper

এলেন না মলয়, চর্চায় সিবিআই

গত ৫ মে সাঁওতালডিহিতে এক নম্বর গেটের সামনে সভা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারই পাল্টা হিসেবে শুক্রবার ওই এক নম্বর গেটের সামনেই সভা করেছে তৃণমূল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৩ ০৯:৫২
তৃণমূলের সভা। শুক্রবার সাঁওতালডিহি। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলের সভা। শুক্রবার সাঁওতালডিহি। নিজস্ব চিত্র

বিজেপির পাল্টা সভার মূল বক্তা থাকবেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। শুক্রবার সাঁওতালডিহির সভার প্রচারে এমনটাই জানিয়েছি তৃণমূল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এলেন না মলয়। যা নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতা বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘রাজ্যের শ্রমমন্ত্রীর দুয়ারে সিবিআই পৌঁছে গিয়েছে। উনি তা সামলাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসতে পারেননি।’’ তবে তৃণমূলের পাড়া ব্লক সভাপতি তথা পাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক উমাপদ বাউড়ির দাবি, ‘‘হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মলয়বাবুর জরুরি বৈঠক পড়ে যাওয়ায় এ দিন সভায় উনি আসতে পারেননি।’’

গত ৫ মে সাঁওতালডিহিতে এক নম্বর গেটের সামনে সভা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারই পাল্টা হিসেবে শুক্রবার ওই এক নম্বর গেটের সামনেই সভা করেছে তৃণমূল। মূল বক্তা হিসেবে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী অনুপস্থিত থাকলেও অনেকের দাবি, বিজেপির সভার থেকে বেশি ভিড় হয়েছিল এ দিন। তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন, বিজেপি রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকা থেকে সভায় লোক এনেছিলো। কিন্তু এ দিন তাদের সভায় শুধু পাড়া বিধানসভা এলাকার কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। তবে বিজেপি নেতা বিদ্যাসাগর বলছেন, ‘‘রাজ্যে ক্ষমতায় থাকার সুবাদে প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে ও দেদার টাকা খরচ করে সভায় লোক জুটিয়েছে তৃণমূল।’’

এ দিন সভায় মূল বক্তা ছিলেন রাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। হাজির ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভপতি উজ্জ্বল কুমার, ছাত্র সংগঠনের সভাপতি কিরিটী আচার্য প্রমুখ।

৫ মের সভায় জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূলকে খেদানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন দিলীপ। এ দিন বক্তব্যে দেশ থেকে বিজেপি খেদাও অভিযান শুরু হয়েছে বলে দাবি করেন শ্রীকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘মানভূম এলাকায় আদিবাদী, সাঁওতাল-সহ অন্যান্য সম্প্রদায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন করে ইংরেজদের দেশছাড়া করেছিল। আমাদেরকেও এ বার এই এলাকা থেকে ও দেশ থেকে বিজেপি খেদাও অভিযান শুরু করতে হবে।’’ বিজেপি সরকার লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমনকি রেল পর্যন্ত বিক্রি করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শ্রীকান্ত। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে অব্যাহত রাখতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বশিক্তি দিয়ে লড়াইয়ে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তৃণমূলের বিভিন্ন বক্তারা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Moloy Ghatak CBI

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy