বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজে যোগাযোগের মাধ্যম হল সমাজমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া। তাকেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে লাগাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডেলগুলির ‘ফলোয়ারস’ সংখ্যা বাড়ানোয় জোর দিয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। সেই লক্ষ্যেই আজ সোমবার ১৬ জুন থেকে আগামী ২২ জুন পর্যন্ত ‘ফলোয়ারস উইক’ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি এসেছে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের কাছে। বীরভূমেও সেই চিঠি এসেছে। সেখানেই জানানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-অ্যাকাউন্ট এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানেই ফলোয়ার বাড়াতে হবে। সে জন্য কোন পথ অবলম্বন করতে হবে সেটাও বলা আছে। জেলা নির্বাচনী দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘সবে চিঠিটি এসেছে, কী ভাবে এগোতে হবে তা আজ, সোমবারই সবিস্তার আলোচনা হবে।’’
জানা গিয়েছে ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে জুড়ে থাকা সব পক্ষের কাছে পৌঁছনোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকায় ভোটার ও সম্ভাব্য ভোটারেরাও রয়েছেন। তাঁরা যাতে তাঁদের নির্বাচন সংক্রান্ত ও অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকতে পারেন তার জন্য নানা প্রয়াস রয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের ফলোয়ার বাড়ানোও সেই প্রক্রিয়ার অংশ।
চিঠিতে কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত টিউটোরিয়াল, সংবাদ, বিবৃতি এবং বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার, (ইলেক্টরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এইআরও (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এইআরও, এএসএসআর বা ভোটকর্মীদের সাথে সম্পর্কিত নানা ‘আপডেটেট’ তথ্য, ছবি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম হ্যান্ডেলে পোস্ট করতে হবে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলছেন, ‘‘ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। কারণ, ফলোয়ার হিসেবে থাকলে সুবিধা হল সাম্প্রতিকতম তথ্য পাওয়া যায়।’’
‘ফলোয়ারস্ উইক’ পালনের প্রথম পর্যায়ে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের অধীনে সরাসরি যুক্ত ইআরও (ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), এইআরও (অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার), বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার) প্রমুখকে ফলোয়ার করতে হবে। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব অতিরিক্ত জেলাশাসকের (নির্বাচন) দফতরকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ভোটারদেরও ফলোয়ার হওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করতে হবে। সেটা করা হবে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা, নির্বাচন সংক্রান্ত পাবলিক মিটিং, জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচির মাধ্যমে। বলা হয়েছে, সেখানেই ভোটার ও সম্ভাব্য ভোটারদের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলের লিঙ্ক এবং কিউআর কোড শেয়ার করতে হবে। তার মাধ্যমেই যে কেউ ফলোয়ার হতে পারবেন বলে কমিশন চিঠিতে জানিয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)