নিজস্ব চিত্র
আদালতের নির্দেশ মতো প্রতিবাদ মঞ্চ খুলে ফেলা শুরু করলেন বিশ্বভারতীর প্রতিবাদী পড়ুয়ারা। বুধবার আদালত নির্দেশ দেয়, উপাচার্যের বাড়ির ৫০ মিটারের মধ্যে থেকে প্রতিবাদ মঞ্চ সরিয়ে নিতে হবে। বৃহস্পতিবার সেই মতো প্রতিবাদী পড়ুয়ারা দুপুর থেকে মঞ্চ খুলে নেওয়ার কাজ শুরু করেন। প্রতিবাদী অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আপাতত আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে আন্দোলন স্থগিত করা হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপ দেখে আন্দোলনের পরবর্তী গতিপথ স্থির করা হবে।’’
তবে বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের ক্লাসে ফেরার বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বুধবার পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। বহিষ্কৃত পড়ুয়া সোমনাথ সৌ ও ফাল্গুনী পান জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশ মতো প্রক্টরের কাছে ই-মেল মারফত পঠন-পাঠনে অনুমতি দেওয়ার আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনও কোনও উত্তর পাননি।
বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের পক্ষ থেকে সোমনাথ বলেন, ‘‘আমরা আদালতের নির্দেশ মেনেই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাব। এখনও পঠনপাঠনে অংশ নেওয়ার কোনও কথা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বলেনি। আমরা দাবি করছি, এই শিক্ষাবর্ষে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করুক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’’ বৃহস্পতিবার সকালেও বিশ্বভারতীর অবস্থান মঞ্চের সামনে, নাটক প্রদর্শিত হয়। তা দেখে যে অর্থ সাধারণ মানুষ দান করেন, সেটি অবস্থান মঞ্চে বিক্ষোভকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত বলেন, ‘‘আন্দোলন চলবে। তবে আদালতের নির্দেশ মেনে আমরা মঞ্চ খুলে নিচ্ছি। আগামী দিনে কী ভাবে আন্দোলন হবে তা, পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy