Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

গর্তে ভরা রাস্তায় বিপাকে পডুয়ারা

কয়েকটি গ্রামের স্কুল পড়ুয়াদের আসা-যাওয়ার রাস্তা একটাই। মড়ার হয়ে বাগডোবা, দুন্দুড়, চাঁচর গ্রামের বাসিন্দারাও ওই একটি রাস্তার উপরেই নির্ভরশীল। অথচ দীর্ঘকাল সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে মড়ার থেকে বাগডোবা, দুন্দুড় হয়ে চাঁচর যাওয়ার রাস্তাটি।

বেহাল মড়ার-দুন্দুড়ের রাস্তা। বর্ষায় পিছিলও।—নিজস্ব চিত্র।

বেহাল মড়ার-দুন্দুড়ের রাস্তা। বর্ষায় পিছিলও।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৫ ০০:২২
Share: Save:

কয়েকটি গ্রামের স্কুল পড়ুয়াদের আসা-যাওয়ার রাস্তা একটাই। মড়ার হয়ে বাগডোবা, দুন্দুড়, চাঁচর গ্রামের বাসিন্দারাও ওই একটি রাস্তার উপরেই নির্ভরশীল। অথচ দীর্ঘকাল সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়েছে মড়ার থেকে বাগডোবা, দুন্দুড় হয়ে চাঁচর যাওয়ার রাস্তাটি।

ওই রাস্তা দিয়েই সদর শহর বিষ্ণুপুরে বাসিন্দাদের যেতে হয়। কিন্তু রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ায় মানুষজন চরম ভাবে নাকাল হচ্ছেন। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, বহুদিন ধরেই মড়ার পঞ্চায়েতের কাছে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি তাঁরা জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

বর্ষা শুরু হতেই রাস্তার গর্তে জল জমছে। কাদায় পা ফেলে হাঁটার মতোও অবস্থা নয়। অনেকে পিছল রাস্তায় পড়ে চোটও পাচ্ছেন। ওই পথে স্কুলে যাওয়ার সময় মড়ার হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রফিকুল ভাঙ্গি ও দশম শ্রেণির মনিরুল ভাঙ্গির ক্ষোভ, “রাস্তার এমনই দশা যে প্রতি পদে সাবধানে চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে বর্ষায় স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে খুব কষ্ট পাচ্ছি আমরা। একটু অসতর্ক হলেই পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।’’ মড়ার গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার খান বলেন, “প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েতে বহুবার দরবার করেছি। কোনও নড়ন-চড়ন নেই।” তাঁর দাবি, এই রাস্তায় প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী মড়ার হাইস্কুলে আসাযাওয়া করে। সেই সঙ্গে আশপাশের তিন-চারটি গ্রামের বহু বাসিন্দা ওই রাস্তা দিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে এসে বিষ্ণুপুরের বাস ধরেন। তবুও গুরুত্ব বুঝে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

মড়ার পঞ্চায়েত বিষ্ণুপুর ব্লকের অধীনে। ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সাগর সাউ রাস্তাটির দুরাবস্থার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর আশ্বাস, “ওই রাস্তাটি সত্যিই খারাপ হয়ে পড়েছে। মেরামতির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।’’ বিষ্ণুপুরের বিডিও প্রশান্তকুমার মাহাতো বলেন, “১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে যাতে দ্রুত কাজটি শুরু করা যায় সে বিষয়ে আমি প্রধানের সঙ্গে কথা বলব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student school Bishnupur bagdoba
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE