Advertisement
২১ মার্চ ২০২৩
Viswabhatari

আবার উপাচার্য বিদ্যুতের ইস্তফার দাবি, ধুন্ধুমার বিশ্বভারতীতে, চলল ধস্তাধস্তি

উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ইস্তফার দাবিতে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রদের দাবি, বিদ্যুৎ তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ বলে অভিযোগ।

বিশ্বভারতীতে ছাত্রবিক্ষোভ।

বিশ্বভারতীতে ছাত্রবিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৯
Share: Save:

উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ইস্তফার দাবিতে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রদের দাবি, বুধবার তার কাছে কয়েকটি দাবি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তিও বাধে। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। বিদ্যুৎ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ঘেরাও চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। বিদ্যুতের অবশ্য দাবি, তাঁকে হেনস্থা করেছে পড়ুয়ারাই।

Advertisement

ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে উপাচার্য নানা বেনিয়ম করে চলেছেন বিশ্বভারতীতে। আন্দোলনকারীদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন নানা বিষয় নিয়ে বুধবার উপাচার্যের সাথে কথা বলতে যান পড়ুয়ারা। কিন্তু, সেই সময় উপাচার্য খারাপ ব্যবহার করেন বলে দাবি ছাত্রছাত্রীদের। তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেন পড়ুয়াদের নিশানা করে গুলি চালাতে। এর পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। এর পর বিদ্যুতের ইস্তফার দাবিতে ঘেরাও শুরু করেন ছাত্রছাত্রীরা। শুভ নাথ নামে এক আন্দোলনকারীর দাবি, ‘‘আমরা যখন ওঁকে আমাদের দাবিগুলি জানাই তখন উনি নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে ছাত্রদের মারধর করেন। তার পর আমরা কথা বলতে চাইলে, উনি নিরাপত্তারক্ষীদের নির্দেশ দেন, ‘‘ছাত্রদের উপর গুলি চালাও।’’ উনি যখন এই নির্দেশ দিতে পারেন, তখন ওঁকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ঘেরাও চলবে।’’

পড়ুয়াদের ঘেরাও আন্দোলন নিয়ে ক্ষুব্ধ বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু, আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার দুঃখ হচ্ছে যে, রবীন্দ্রনাথের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অভদ্রতা, বাপ-মা তুলে গালাগালি দেওয়া চলছে। আমার কাছে এর প্রমাণ আছে। আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। এগুলি গায়ের জোর দেখানো হচ্ছে।’’ এ নিয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.