শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ শুভেন্দুর। — ফাইল চিত্র।
প্রশাসনের মদতে ব্যালট বাক্স বদল করে বিজেপি প্রার্থীদের হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে দলীয় সভায় তিনি দাবি করলেন, ‘‘এ বার সুষ্ঠু ভোট হলে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, জলপাইগুড়ি-সহ সাত-আটটি জেলা পরিষদ একক ভাবে বিজেপি ক্ষমতা দখল করত।’’ যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সে দাবি মানেননি। প্রশাসনের তরফেও অভিযোগ মানা হয়নি।
এ দিন সভায় শুভেন্দু দাবি করেন, বিষ্ণুপুর মহকুমার ইন্দাস, জয়পুর, পাত্রসায়র, কোতুলপুর— চারটি ব্লকে তাঁদের দলের প্রার্থীদের একটিও মনোনয়ন করতে দেওয়া হয়নি। তার পরেও রাজ্যে ৫৪ হাজার আসনে পদ্মফুল প্রতীকের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। প্রত্যাহারের সময় আরও সাত হাজার প্রার্থীকে তুলে দেওয়া হয়। ৪৭ হাজার আসনে তাঁরা লড়াই করেন।
তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভোটের দিন আধাসেনা ও অন্য রাজ্য থেকে আসা আর্মড পুলিশকে বসিয়ে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাডাররা ভোট লুট করতে নেমে পড়ল। সিসিটিভি অচল করে দেওয়া হয়। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের নেতৃত্বে বিডিওরা দ্বিগুণ ব্যালট পেপার ছাপিয়ে পুলিশের সাহায্যে রাতে ডিসিআরসি-তে বাক্স বদল করলেন। ভোটগণনার নামে প্রহসন করা হয়েছে।’’ ইতিমধ্যে ঝালদা ১ ও বড়জোড়ার বিডিওদের বিরুদ্ধে গণনায় কারচুপির অভিযোগে মামলা করেছে কংগ্রেস ও সিপিএম।
বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও প্রশাসন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে পুরুলিয়ার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পুরুলিয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে জিতেও তাঁদের মানুষের পাশে দেখা যায়নি। ভোট ও গণনার দিনে তাঁদের এজেন্ট থাকার পরেও এখন এই অভিযোগ তোলার কোনও মানে নেই। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy