Advertisement
E-Paper

তৃণমূলেই ফিরলেন তারকেশ

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার পরে শহর তৃণমূলের সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন তারকেশ বাবু। ২০১০ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে পুরপ্রধানও হন। ২০১৫ সালে দল তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০১:২৭

ফের এক দফা দলবদল ও দলত্যাগের ঘটনা ঘটল পুরুলিয়ায়। রবিবার পুরুলিয়া শহরের ডানপন্থী নেতা তারকেশ চট্টোপাধ্যায় ফের তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন শহরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর রিম্পা কবিরাজ এবং তাঁর স্বামী সুনয় কবিরাজ। এ দিন বিকেলে বিটি সরকার রোডের জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো ও সহ-সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার পরে শহর তৃণমূলের সভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন তারকেশ বাবু। ২০১০ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে পুরপ্রধানও হন। ২০১৫ সালে দল তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরেন। কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূলের কাছেই তাঁকে পরাজয় স্বীকার করতে হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে পুরোদস্তুর মাঠে নেমেছিলেন তিনি। কিন্তু ইদানীং কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁকে সে ভাবে দেখা যাচ্ছিল না। এ দিন তারকেশবাবু বলেন, ‘‘আমি তো ২০০০ সাল থেকেই তৃণমূলে ছিলাম। একটা মমত্ববোধ রয়েছে। মাঝখানে কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।’’

সুনয় কবিরাজ তৃণমূলে ২০১০ তৃণমূলের টিকিটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০১৫-র নির্বাচনে দল তাঁকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি স্ত্রীকে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেন। রিম্পাদেবী তৃণমূলকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। তারপর থেকে নির্দল হিসেবেই কাজ করছিলেন। সুনয়বাবুও বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দলে রয়েছি। মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তা মিটে গিয়েছে বলে ফিরলাম।’’

শান্তিরামবাবু বলেন, ‘‘এঁরা দলেই ছিলেন। মাঝখানে দলবিরোধী কাজের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন। তা ছাড়া রাজ্যেরও নির্দেশ রয়েছে যে পুরনো যাঁরা দলে ফিরতে চান তাঁদের বিষয়টি অন্য ভাবে দেখতে হবে।’’

অন্য দিকে কংগ্রেস ছাড়লেন প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক তথা পুরুলিয়া জেলা কমিটির সদস্য পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও তিন নেতা। তাঁরা হলেন যুব কংগ্রেসের জেলা কমিটির আহ্বায়ক হরেরাম সিংহ, দলের কিসান ও খেতমজুর শাখার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান জয়দেব দত্ত এবং জেলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত মাহাতো। রবিবার পার্থপ্রতিমবাবু বলেন, ‘‘আমি তিরিশ বছর কংগ্রেসে রয়েছি। এত দিন তৃণমূলে যোগদানের আহ্বান উপেক্ষা করেও কংগ্রেসে থেকেছি। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই নানা কারণে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। কংগ্রেসে এসেছেন এমন কয়েক জন নেতা যে ভাবে দল চালাচ্ছেন তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তাই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’’ তবে তাঁরা অন্য কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন কি না সেই বিষয়ে কিছু বলেননি। বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এ দিন পুরুলিয়ার জয়পুরে প্রাক্তন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি শঙ্করনারায়ণ সিংহ দেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

ঝালদা ১ ব্লকের জারগো গ্রামে ৬৯ জন ফরওয়ার্ড ব্লকের কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগ দিলেন বলে দলের ঝালদার নেতা শঙ্কর মাহাতোর দাবি।

Tarakesh Chattopadhyay TMC Return
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy