E-Paper

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, তার পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১১
সিউড়ির মসজিদ মোড়ে বিক্রি হচ্ছে সোয়েটার তৈরির উল।

সিউড়ির মসজিদ মোড়ে বিক্রি হচ্ছে সোয়েটার তৈরির উল। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। খুশি হয়েছিলেন জেলাবাসী। কিন্তু ডিসেম্বর মাস ঢোকার দিন তিনেক আগে হঠাৎই যেন উধাও হয়ে গিয়েছে শীত। রবিবার ডিসেম্বরের প্রথম দিন রবিবার বীরভূমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এই তাপমাত্রা বাড়লেও পরে আবার তা কমতে পারে বলেও ইঙ্গিত রয়েছে।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, তার পরোক্ষ প্রভাব পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। শনিবার সেই ঘূর্ণিঝড় ফেনজাল আছড়ে পড়েছে পুদুচেরির উপকূলে। এর ফলে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঠান্ডা হাওয়া রাজ্যে ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। উল্টে জলীয় বাষ্প ঢুকছে দক্ষিণে সাগরের দিক থেকে। তারই প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলা বীরভূমেও।

আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকতে পারে বলে। তবে শনিবার কড়া রোগ ছিল। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন ছিল। অথচ ঠান্ডার তেমন অনুভূতি নেই। এমনকী মোটরবাইক চালানোর সময় শীতের পোশাক পরার প্রয়োজন হচ্ছিল না বলে দাবি জেলার বাসিন্দাদের। যা একটু অবাক করাই। তবে ঘূর্ণিঝড় ফেনজালের প্রভাব কমলে ফের পারদ পতনের সম্ভাবনা জোরাল হবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে। রবিবার অবশ্য দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়লেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সেভাবে বাড়েনি। তা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলায় নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকেই পারদ পতন শুরু হয়েছিল। দিন দু’য়েক তাপমাত্রা ১৩ ছুঁয়েছিল। কিন্তু ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার ঘটনা ঘটেছিল গত ২৪ নভেম্বর। যা সেদিন শৈলশহর কালিম্পংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাকেও টেক্কা দিয়েছিল। তবে শীতের বার্তা নিয়ে বীরভূমের জলাশয়ে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখি। আনাজের জোগান কিছুটা হলেও বেড়েছে। রাস্তার ধারে বিক্রি হচ্ছে শীতপোশাক, উল। দামও কিছুটা কমেছে। সাময়িক ঠান্ডা কমলেও এই সময়টায় সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকেরা। কারণ তাপমাত্রার হেরফেরে সর্দি কাশি জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy