Advertisement
E-Paper

নানুরে আবার বোমাবাজি

আধঘণ্টার মধ্যে পুলিশ পৌঁছোনোর পরও কিছুক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য ওই অভিযোগ মানেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানেননি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৭ ০১:৫২
গ্রামে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

গ্রামে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজির জেরে উত্তেজনা ছড়াল নানুরের চণ্ডীপুর গ্রামে। এ দিন দুপুর ১ টা নাগাদ বোমাবাজি শুরু হয়। আধঘণ্টার মধ্যে পুলিশ পৌঁছোনোর পরও কিছুক্ষণ দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি চলে বলে অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য ওই অভিযোগ মানেনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানেননি।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন যুব নেতা কাজল অনুগামী হিসাবে পরিচিত হোসেন সেখের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে দলের বর্তমান জেলা যুব সভাপতি গদাধর হাজরার অনুগামী হিসাবে পরিচিত হাসান সেখের। হাসান একসময় সিপিএমের কর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। সে সময় হোসেনের দাপটে বেশ কিছুদিন হাসান গ্রাম ছাড়া ছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সে গদাধরের হাত ধরে দলে ঢোকে। এবং, বিধানসভা নির্বাচনের পরে এলাকার কর্তৃত্ব কায়েম করে হাসান। তার জেরে গ্রাম ছাড়া হতে হয় হোসেনকে। প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে রমজানের আগে গ্রামে ফেরানো হয় হোসেনকে। কিন্তু দুই পক্ষের চাপা বিরোধ থেকেই যায়। এ দিন একটি স্বামী-স্ত্রী অশান্তিকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। হাসান সেখের পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল হোসেন সেখের পরিবারের একটি ছেলের। মেয়েটিকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে হোসেন সেখের পরিবারের বিরুদ্ধে। তারই জেরে দুই পক্ষের বোমাবাজি হয়।

কাজলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে গদাধর হাজরা জানিয়েছেন, ‘‘ওই ঘটনা নিতান্তই পারিবারিক। ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি কিংবা গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’

পুলিশ জানায়, এখনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে বোমাবাজির সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Nanur TMC Conflict Boombing নানুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy