জেলার আদিবাসী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল বীরভূমের বিশেষ আদালতে। শুক্রবার আদালতে সাক্ষ্য দিলেন ‘গুগল ম্যাপ’ বিশেষজ্ঞ এবং হস্তলিপি বিচার বিশেষজ্ঞ (হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট)। এ দিন আদিবাসী সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাজি পারগানামহল’ অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে সংশ্লিষ্ট শহরে মিছিল ওসভা করে।
মামলার বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর) বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানান, আদালত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৬ দিন ধার্য করেছে। প্রথম দিন দু’জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। নিহত ছাত্রীর পরিবারের আইনজীবী প্রদীপ সোরেনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘গুগল ম্যাপ’ বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বয়ান অনুযায়ী, দশটি জায়গায় মানচিত্রের ‘স্কেচ’ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
নিহত ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার দিন যে সব জায়গায় অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীটিকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল, সেই জায়গাগুলি জমা দেওয়া মানচিত্রের মধ্যে আছে। যে জায়গা থেকে আদিবাসী ছাত্রীর বস্তাবন্দি দেহাংশ মেলে, সেই সেচখালের চারপাশের এবং ছাত্রীর দেহ কাটার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র অভিযুক্ত যে জায়গায় ফেলে রেখেছিল, তার স্কেচ-মানচিত্রও জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। এ ছাড়া, তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু মানচিত্র দেওয়া হয়েছে। ওই নাবালিকা যে স্কুলছাত্রী ছিল, তা প্রমাণ করার জন্য হস্তলিপি বিচার বিশেষজ্ঞের তথ্যও আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
কুড়ি দিন নিখোঁজ থাকার পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি সেচখাল থেকে আদিবাসী ছাত্রীর দেহাংশ উদ্ধার হয়। ঘটনায় ছাত্রীর স্কুলেরই শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপহরণ, খুন, তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, ‘পকসো’, এসসি-এসটি ধারায় মামলা হয়েছে। দশ দিনের মধ্যে পুলিশ মামলার চার্জশিট আদালতেজমা দিয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)