বৈঠক: সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র
কুষ্ঠ রোগী চিহ্নিত করণের প্রাথমিক কাজটা তাঁরাই করেন। এবং চিহ্নিত রোগীদের ওষুধ খাওয়ানোর মত পরিষেবা দিতে হয় তাঁদেরকেই।
অথচ পরিষেবা দিলেও রোগ বিষয়ক একদিনের প্রশিক্ষণ এবং শংসাপত্রের অভাবের জন্যই এতদিন জেলার আশাকর্মীরা ওই সংক্রান্ত কোনও উতসাহ ভাতা পেতেন না। বুধবার থেকে সেই সমস্যা মিটল। প্রশিক্ষণের পর এ দিনই একটি প্রতীকি অনুষ্ঠানে কয়েকজন আশাকর্মীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হল। জেলাপরিষদের কনফারেন্স হলে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যেমে শংসাপত্র দেওয়া হয়। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘জেলাপরিষদের অর্থ সাহায্যের জন্যই রাজ্যের মধ্যে প্রথম বীরভূম জেলা এমন কাজ করতে সক্ষম হল।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন আশাকর্মী মা শিশুর স্বাস্থ্য ছাড়াও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচিতে নিয়মিত যোগ দেন। জাতীয় কুষ্ঠ নিবারণ কর্মসূচিতে একজন আশাকর্মী সম্ভাব্য কুষ্ঠরোগীকে চিহ্নিত করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসেন। চাক্ষুস অঙ্গবিকৃতি না থাকা সত্বেও চিহ্নিত রোগীর জন্য ২৫০ টাকা এবং অঙ্গবিকৃতি থাকেল ২০০ টাকা উৎসাহ ভাতা পাওয়ার কথা। দু’ধরণের কুষ্ঠ রোগী, পিবি ও এমবি রোগীদের ওষুধ খাওয়ানোর জন্য ৮০০ ও ৬০০ টাকা উৎসাহ ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই রোগ বিষয়ক একদিনের প্রশিক্ষণ এবং শংসাপত্র না থাকলে আশাকর্মী সেই ভাতা পাবেন না।
জোনাল লেপ্রোসি অফিসার ইন্দ্রনীল আচার্য চৌধুরী বলেন, জেলার ২৯০০ আশাকর্মীকে প্রশিক্ষণ ও শংসাপত্র দেওয়ার জন্য উপযুক্ত ফাণ্ড না থাকায় সমস্যা থেকেই গিয়েছিল। এবং উৎসাহভাতা না পাওয়ার কাজে তেমন উৎসাহ পাচ্ছিলেন না আশা কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত সিএমওএইচের সম্মতিক্রমে জেলাপরিষদকে বিষয়টি জানতেই রাজি হন সভাধিপতি। এবং তিন লক্ষটাকা অনুমোদন করেন। জেলার প্রতিটি ব্লকে আশাকর্মীদের জানুয়ারির ১৬ থেকে ২৮ তারিখ ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘কুষ্ঠরোগী চিহ্নিত করণের প্রথম ধাপে যেহেতু ওঁরা রয়েছেন টাকা না পেলে কী ভাবে পরিষেবা দেবেন। সেই কথা ভেবেই এগিয়েছে জেলাপরিষদ। চাইব কুষ্ঠরোগ নির্মূল হোক জেলা থেকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy