Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

নিঁখোজ যুবকদের পরিবার প্রশাসনে

ঘটনার শুরু মাস চারেক আগে। এক বেসরকারি সংস্থায় ঠিকার কাজে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন সুজিত বাগদি ও বিলু বাগদি। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানা আদুরিয়া বাড়ি সুজিতের।

সন্ধান-চাই: ছেলেদের ছবি নিয়ে প্রশাসনে দুই বাবা। নিজস্ব চিত্র

সন্ধান-চাই: ছেলেদের ছবি নিয়ে প্রশাসনে দুই বাবা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৫০
Share: Save:

কাজের সন্ধানে মাস চারেক আগে ভিন্-রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন দুই যুবক। গত দেড় মাস ধরে তাঁদের সঙ্গেই যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছে পরিবারগুলির। বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ না করতে পরে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ উদ্বিগ্ন পরিবার। বৃহস্পতিবার দুই যুবকের বাবা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে সিউড়ি এসে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে উষ্মা প্রাকাশ করলেন। জেলাশাসকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে জেলা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, এমন কোনও অভিযোগের বিষয় আগে প্রাশাসনের নজরে ছিল না।

ঘটনার শুরু মাস চারেক আগে। এক বেসরকারি সংস্থায় ঠিকার কাজে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন সুজিত বাগদি ও বিলু বাগদি। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানা আদুরিয়া বাড়ি সুজিতের। অন্যদিকে বিলু বীরভূমের পাঁড়ুই থানার সুন্দিপুরের বাসিন্দা। তাঁদের পরিজনেদের দাবি, ‘‘ইলামবাজারের চাঁদ মহম্মদ ওরফে কটা নামে জনৈক এক যুবক দৈনিক ৫০০ টাকার বিনিময়ে বেসরকারি সংস্থায় মেশিনে কাপড় পরিষ্কারের কাজ দেওয়ার নাম করে ওই দু’জনকে নিয়ে যায়। গত ৮ই এপ্রিল তাঁরা রওনা হয়। প্রথমদিকে যোগাযোগ থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি ওরা জানিয়েছিল যে ওরা কষ্টে আছে। তারপর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।’’

সুজিতের বাবা কিঙ্কর বাগদি ও বিলুর বাবা নারায়ণ বাগদির কথায়, ‘‘আমাদের পরিবারগুলির আর্থিক দৈনতা রয়েছে। সেই কারণে একটু আর্থিক স্বাচ্ছল্যের জন্য ছেলেদের পাঠাতে রাজি হয়েছিলাম। এখন ওরা কোথায় আছে, কেমন আছে সেটাই জানতে পারছি না।’’

দুই পরিবারের দাবি, এর আগেই ইলামবাজার থানায় চাঁদ মহম্মদকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন করেছিলাম। ডাক যোগে বিষয়টি জানিয়েছি জেলা পুলিশসুপার, জেলাশাসক এবং মুখ্যমন্ত্রীকেও। কিন্তু কোনও তরফেই সাড়া না পাওয়ায় সিউড়ি এলাম। সঙ্গে অশোক কোনার নামে আউশগ্রামের এক কংগ্রেস নেতা ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা হয়নি, আবেদন দিয়ে গেলাম।’’ এ দিন চাঁদ মহম্মদের সঙ্গে দেখা করেও অবশ্য সদুত্তর মেলেনি।

চাঁদের দাবি, ‘‘আমি ইলামবাজারেই। মোট ন’জনকে নিয়ে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলাম। সাতজন ফিরে এসেছে কিন্তু বাকি দু’জনের খোঁজ আমিও জানি না। কারণ তারা আমার সঙ্গ ছেড়ে নিজেরা সরাসরি

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Father Son Youth Missing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE