Advertisement
E-Paper

অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা যে পথে

পঞ্চায়েত ভোটের সময় দলের প্রচারে পাড়ুইয়ের কসবায় এক সভায় পুলিশের উপরে ‘বোম’ মারা এবং নির্দল প্রার্থীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২০
বোলপুরে নিজের ঘরে অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র।

বোলপুরে নিজের ঘরে অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের সময় দলের প্রচারে পাড়ুইয়ের কসবায় এক সভায় পুলিশের উপরে ‘বোম’ মারা এবং নির্দল প্রার্থীদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত। ওই বক্তৃতার পরেই কসবা অঞ্চলে একাধিক নির্দল প্রার্থীর (বিক্ষুব্ধ তৃণমূল) বাড়িতে হামলা, বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। খুন হন, নির্দল প্রার্থী হৃদয় ঘোষের বাবা সাগরচন্দ্র ঘোষও। উস্কানিমূলক বক্তৃতা এবং তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের প্রেক্ষিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। প্রথমে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা করলেও বীরভূমের তৎকালীন মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) রাজেশ চক্রবর্তী পাড়ুই থানাকে জামিন-অযোগ্য ধারায় মামলা করার নির্দেশ দেন।

যে পথে মামলা...

১৭ জুলাই, ২০১৩: পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক মুখে পাড়ুইয়ে প্রকাশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করায় অভিযুক্ত অনুব্রত।

২৩ জুলাই: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলাশাসক অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর নির্দেশ দেন।

২৬ জুলাই: পাড়ুই থানা মামলা রুজু করে।

২৪ জুন, ২০১৫: অনুব্রতর বিরুদ্ধে সিউড়ি আদালতে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।

২৯ জুন: সিউড়ি আদালতে আত্মসমর্পণ করে পাঁচ মিনিটে জামিন পেয়ে যান অনুব্রত ।

৬ অগস্ট: অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয়।

৯ ডিসেম্বর: শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া।

৩০ নভেম্বর: আদালতে বিতর্কিত বক্তব্যের সিডি ও ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়ে। সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হয়।

১৫ ডিসেম্বর: চূড়ান্ত শুনানি।

২১ ডিসেম্বর: সিউড়ি সিজেএম আদালতের বিচারক অনুব্রত মণ্ডলকে বেকসুর খালাস করে দেন।

Anubrata Mondal Case
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy