নবনির্মিত ছাত্রাবাসে ঠিক কী হয়েছে, চুরি নাকি অন্য কিছু? অন্য কিছু হয়ে থাকলে তাতে কার, কোন মতলব ছিল?— সে সব প্রশ্নের উত্তর পেতে আভ্যন্তরীণ তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করল বিশ্বভারতী। শুক্রবার বিশ্বভারতীর ওড়িয়া বিভাগের প্রধান মনোরঞ্জন প্রধানের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি গঠন হয়। অস্থায়ী উপাচার্য স্বপন দত্ত জানান, কমিটি-র রিপোর্ট এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলতি মাসের ১০ তারিখ শ্রীনিকেতনের চিপকুঠি এলাকায় বিশ্বভারতীর নব নির্মিত ছাত্রাবাসে চুরির খবর চাউর হয়। ওই ছাত্রাবাস থেকে ঠিক কী কী চুরি গিয়েছে, তা নিয়ে প্রথম থেকে ধন্দে ছিল সব মহল। ওই ছাত্রাবাসে আদৌ কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে কি না, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিশ্বভারতীর কোনও কোনও মহল।
শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ছাত্রাবাস নির্মাণের পরে কার হাতে তার দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল বা আদৌ তা দেওয়া হয়েছিল কি না, সে প্রশ্নও উঠে যায়। ধন্দ দেখে ঘটনাস্থলে যান বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা দফতর-সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের একাংশ। তারপরেও ধন্দ কাটেনি। চলতি মাসের ১০ তারিখ, শুক্রবার দুপুরে নবনির্মিত ছাত্রাবাসের চাবি হারিয়ে যাওয়ায় ছাত্র পরিচালক, মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক, একাধিক কর্মকর্তা ও বিশ্বভারতীর কর্মীরা গিয়ে নতুন তালা দিয়ে আসেন ওই ছাত্রাবাসে। তার কিছু সময় পরেই চুরির খবর চাউর হয়। ছাত্র পরিচালক বিষয়টির কথা জানতে পেরে নিরাপত্তা দফতরকে জানান। ওই চুরির তদন্তে অভিযোগ নিয়েই ধন্দ তৈরি হয়েছে। তারই নিরসন ঘটাতে অস্থায়ী উপাচার্যের নির্দেশে গঠিত হল আভ্যন্তরীণ তথ্য অনুসন্ধান কমিটি। কী রিপোর্ট আসে, সে দিকেই তাকিয়ে বিশ্বভারতী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy