বিক্ষোভে: বেতন চেয়ে দাবি কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র
পাঁচ মাস হল পারিশ্রমিক বন্ধ। পরিবার, সংসারের হাল করুণ। এই অবস্থায় স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠালেন জেলার বেশ কয়েক জন এসএলও কর্মী বা শ্রমিক বন্ধুরা। শুক্রবার সকালে সিউড়ির জেলা স্কুলের মাঠে বেশ কয়েকজন শ্রমিক বন্ধু প্রথমে জমায়েত হন। তারপর তাঁরা পোস্ট অফিসে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠান।
প্রশাসন সূত্রের খবর, অসংগঠিত শ্রমিকদের সমস্ত রকমের সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়ায় কাজ করেন শ্রমিক বন্ধুরা। পরিবর্তে সামান্য টাকা মজুরি হিসেবে পেয়ে থাকেন। এই জেলায় প্রায় ২৫০ জন এবং রাজ্যে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক বন্ধু রয়েছেন। গত পাঁচ মাস তাঁদের মজুরি সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গত পাঁচ মাস ধরে অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প রয়েছে, সেগুলির আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে। ফলে তাঁদের কাজ ও মজুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। লকডাউন চলাকালীন এই ভাবে মজুরি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে তাঁরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠির মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন যে, হয় তাঁদের বেতন দেওয়া হোক কিংবা স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হোক। তাঁদের আরও দাবি, কেবল তাঁদের মজুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে এমনটা নয়। অনলাইন প্রক্রিয়ায় হওয়ায় অনেক অসংগঠিত শ্রমিক আবেদন জানাতে পারবেন না। কারণ অনেকেই অনলাইন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। মহম্মদবাজারের এসএলও কৃষ্ণা চৌধুরী বলেন, ‘‘২০০৯ সাল থেকে এই কাজ করছি। জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে শ্রমমন্ত্রী সকলের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করেছি। লাভ হয়নি৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি।" একই কথা বলেন এসএলও নিতাই দাসও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy