সাঁইথিয়া শহরের বাসিন্দা ও পেট্রল পাম্প মালিক কমলকান্তি দে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করল রামপুরহাট আদালত। মঙ্গলবার মামলার শুনানির পরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সৌগত রায়চৌধুরী ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে তথ্য ও প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন।
সাঁইথিয়ার আঁচালিয়া মোড় এলাকার বাসিন্দা কমলকান্তির পেট্রল পাম্প ছিল ময়ূয়েশ্বর থানার গুমতো মোড়ের কাছে। তা ছাড়া বালির কারবারও করতেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে পেট্রল পাম্পের কাজ সেরে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সাঁইথিয়া-বহরমপুর রাস্তার উপরে তালতলা সারদা মোড় কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে গুলি চালাতে শুরু করে। পালানোর চেষ্টা করলে ব্যবসায়ীর পিঠ বরাবর চারটি বুলেট বিঁধে যায়। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলির শব্দে স্থানীয়রা বেরিয়ে এলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই কমলকান্তির মৃত্যু হয়।
পরের দিন ময়ূরেশ্বর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী বাবলি দে। অভিযোগে কারও নাম ছিল না। পুলিশ তদন্তে নেমে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কমলকান্তির এক নিকটাত্মীয়কে গ্রেফতার করে। তিনি ময়ূরেশ্বর থানা এলাকারই বাসিন্দা। পুলিশের দাবি ছিল, তারা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, খুনের পিছনে পারিবারিক সংঘাত রয়েছে। ওই নিকটাত্মীয়ই কমলকান্তিকে খুন করার জন্য নিজের দুই পরিচিতকে নিয়োগ করেছিলেন। এর পরে পুলিশ বনগাঁ থেকে এবং উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে।
তিন অভিযুক্তই এ দিন বেকসুর খালাস পেয়েছেন। বাবলি দে বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেল হেফাজতে ছিল। একাধিকবার কলকাতা হাই কোর্টের জামিনের আবেদন করলেও তা নাকচ হয়েছে। আমরা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হব।’’ সরকারি আইনজীবী উৎপল মুখোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)