কাঁকরতলা-কাণ্ডে এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হল লিল্টু শেখ, আনসার শেখ এবং গিয়াসউদ্দিন শেখ। প্রত্যেকেরই বাড়ি কাঁকরতলার বড়রা গ্রামে। ধৃত আনসার স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাসমত শেখের বাবা। শনিবার বিকেলে তাদের ধরেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে অবৈধ কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের খবর পেয়ে বড়রা গ্রামে গিয়েছিল পুলিশ। এলাকায় গিয়ে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ভ্যানে তোলার সময় আক্রান্ত হয় পুলিশ। ওই দুষ্কৃতীকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িতে নিতে তার অনুগামীরা বোমা-গুলি ছোড়ে। ভাঙচুর হয় পুলিশের গাড়িও। তখনই গুলিবিদ্ধ হন এক পুলিশকর্মী। তিনি বর্তমানে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর থেকেই কালো শেখ ওরফে আজফার এবং তাঁর সঙ্গীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও ধৃতদের আত্মীয় পরিজনদের দাবি, ‘নিরীহ’ লোকেদের ধরলেও মূল অভিযুক্তদের টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের অবশ্য দাবি, ধৃতেরা কেউ-ই নিরীহ নন। বাকিদের খোঁজ চলছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সশস্ত্র জমায়েত, সরকারি কর্মীর উপর হামলা, সরকারি কর্মীকে মারধর, সরকারি কাজে বাধাদান, বোমাবাজি, অস্ত্র মজুত রাখা ও তা ব্যবহার করার মতো বেশ কয়েকটি ধারা দিয়েছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে দুবরাজপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এ দিকে, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে কাঁকরতলা থানা এলাকারয় অবৈধ কয়লা কারবার আর সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের প্রশ্রয়েই অবৈধ কয়লা কারবারের রমরমা বলে অভিযোগ। তার সূত্রেই এলাকায় বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার তৈরি হয়েছে। দাদাগিরির ভয়ে কেউ কোনও কথা বলতে পারেন না। পুলিশের উপর গুলিচালানোর ঘটনা তারই ইঙ্গিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy