Advertisement
E-Paper

পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই তৃণমূলে ফিরলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার তিন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলার

সোমবার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন বিষ্ণুপুর পুরসভার ৪, ৮ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার যথাক্রমে শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও হিরালাল দত্ত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৩ ২০:১১

—ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে এলেন তিন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলার। সোমবার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন বিষ্ণুপুর পুরসভার ৪, ৮ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার যথাক্রমে শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ও হিরালাল দত্ত। দলের টিকিট না পেয়ে গত পুরনির্বাচনে শ্রীকান্ত কংগ্রেসের টিকিটে এবং সঞ্জয় ও হিরালাল নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন। সেই সময় তাঁদের আর দলে না ফেরানোর ঘোষণা সত্ত্বেও কেন এই যোগদান, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি।

গত পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোঁজ-কাঁটা এড়াতে নির্বাচনের আগেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কোনও ভাবেই গোঁজ প্রার্থীদের দলে ফেরানো হবে না। পুরসভা নির্বাচনের এক বছর কেটে গেলেও এত দিন বিক্ষুব্ধদের দলে ফেরায়নি তৃনমূল। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে দ্রুত বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। পঞ্চায়েতের দখল নিতে বাঁকুড়া জেলায় জয়ী একাধিক গোঁজ প্রার্থীকে দলে ফেরানো হয়। এ বার পুরসভার জয়ী গোঁজদেরও দলে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল তৃণমূলে। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘গত পুরনির্বাচনে অনেকেই প্রার্থী হতে না পেরে অন্য প্রতীকে বা নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন। অনেক দিন ধরেই এই তিন জন তৃণমূলে ফেরার আবেদন জানিয়েছিলেন। দলের নির্দেশেই এখন তাঁদের ফেরানো হচ্ছে।’’

তৃনমূলে যোগ দেওয়া কংগ্রেস কাউন্সিলার শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি ২০০০ সাল থেকেই তৃণমূলে ছিলাম। গত পুর নির্বাচনে দল আমাকে প্রার্থী করেনি। কিন্তু এলাকার মানুষ চেয়েছিলেন। তাই আমি কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়ে জিতেছিলাম। এখন মানুষের জন্য আরও বেশি কাজ করতেই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছি।’’ তৃনমূলে যোগ দেওয়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে যোগ দিতেই এই সিদ্ধান্ত।’’

এই দলবদল প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক দেবু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই দলবদল শুধু কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা নয়, সাধারণ মানুষের সঙ্গেও প্রতারণা। মানুষের জন্য নয়, ব্যক্তিগত লাভেই ওই কংগ্রেস প্রার্থী দলবদল করেছেন।’’ বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘সবই কাটমানি আর তোলার লীলা। কাটমানি আর তোলার জন্যই এই তিন কাউন্সিলার চুরি করে ভোটে জিতে দলবদল করে তৃণমূলে গেছেন। মানুষ সব জানে,ন সব বোঝেন।’’

TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy