প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তাদের তালিকা পঞ্চায়েত প্রধান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিডিও অফিসে জমা দিতে পারেননি। তার ফলে বহু গরিব মানুষ ঘর পাননি। এই দাবি করে নলহাটি ২ ব্লকের শীতলগ্রামের তৃণমূল প্রধান তাইজুদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল সিপিএম।
নলহাটি ২ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরে নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতির অধীন ছ’টি পঞ্চায়েতে মোট ৪৭০টি গৃহ নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়। ৩ মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রধানদের উপভোক্তাদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। শীতলগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল প্রধান সেই সময়ের মধ্যে ব্লক প্রশাসনকে তালিকা জমা দিতে পারেননি। প্রশাসনের তরফে দাবি সময়ে তালিকা জমা দেওয়ার জন্য প্রধানকে একাধিকবার তাগাদাও দেওয়া হয়েছিল। নলহাটি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের রেজাউল হকের কথায়, ‘‘প্রধানের অপদার্থতাতেই গরিব মানুষ বঞ্চিত হলেন। এর জবাবদিহি করতে হবে।’’ সে কারণেই আন্দোলন বলে জানান।
প্রধান তাইজুদ্দিন মণ্ডল সে অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর যুক্তি, ‘‘যে তালিকা প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে অনেকেই ইন্দিরা আবাস যোজনা, আমার ঠিকানা, নিজ ভূমি নিজ গৃহ, গীতাঞ্জলির মতো সরকারি প্রকল্পের সুযোগ পেয়েছেন। তালিকায় গরমিল ছিল বলেই জট তৈরি হয়েছে।’’ এলাকায় বিশেষ সংসদ সভার মাধ্যমে প্রশাসনের উপস্থিতিতে সর্বদলীয় ভাবে প্রকৃত উপভোক্তার তালিকা তৈরি করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
নলহাটি ২ ব্লকের বিডিও ঋক সপ্তার্ষ বলেন, ‘‘প্রধান কেন তালিকা জমা দেননি সেটা তাঁর ব্যাপার। এ ব্যাপারে আর যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ এমন খবরে বিব্রত তৃণমূল নেতৃত্বও। দলের নলহাটি ২ ব্লক সভাপতি বিভাষ অধিকারী, তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ঠিক কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখবেন। গরিব মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য থেকে কোনওভাবেই বঞ্চিত করা যাবে না। সাফ জানাচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।
এ দিকে, তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে অপদার্থতার অভিযোগে শুরু হয়েছে আন্দোলন। সিপিএম নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সংসদে পোস্টারিং করেছেন। প্রচারে নেমেছে কৃষক সভাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy