নানুরে তৃণমূলকর্মীর আহত মা। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের নানুর এবং লাভপুর। লাভপুর থানার অন্তর্গত কল্যাণপুর গ্রামে বোমা রাখার প্রতিবাদ করায় তৃণমূলকর্মীর মা এবং স্ত্রী-কে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, নানুর বিধানসভা এলাকার সিঙ্গি গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়ির আশপাশে বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল এবং বিজেপি, ২ দলই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এই ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই ২ এলাকায়।
লাভপুর থানার কল্যাণপুরে বাড়ি তৃণমূলকর্মী রুস্তম শেখের। অভিযোগ, তাঁর বাড়ির পাশেই একটি গলিতে বোমা মজুত করছিলেন বিজেপি কর্মীরা৷ বুধবার সকালে তা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ করেন রুস্তমের স্ত্রী খাইরুন্নেসা খাতুন। প্রতিবাদ করায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ।মারের জেরে তাঁর মাথাও ফেটেছে। তৃণমূলকর্মীর বয়স্ক মা-কেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ৷ আহত অবস্থায় ওই তৃণমূলকর্মীর মা এবং স্ত্রী স্থানীয় লাভপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বিজেপি-র তরফে। বিজেপির স্থানীয় নেতা বিকাশ আচার্য বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ঝামেলা হয়েছে। এখানে বিজেপি-র কোনও ভূমিকা নেই৷’’
অন্য দিকে, বোলপুর থানার অন্তর্গত নানুর বিধানসভা এলাকার সিঙ্গি গ্রামে বিজেপি-র কর্মী এবং সমর্থকদের বাড়ির আশপাশে বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ওই এলাকায় বিজেপি-র দেওয়াল লিখন করা হয়েছিল ভোটের জন্য। তার পরই মঙ্গলবার রাতে বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠলে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বোলপুর থানার পুলিশবাহিনী। বুধবার সকালে ওই গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০-২৫টি তাজা বোমা। ঘটনাস্থলে এখনও মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy