গণ্ডগোলের খবর পেয়ে রূপপুরে তদন্তে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র
ট্রাক্টর নামিয়ে তিন বিঘে বীজতলা নষ্ট করার ও ওই জমিতে কর্মরত এক আদিবাসী মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হরিরামপুর তথা বড়বাগান আদিবাসী পাড়ায়। এ দিন শান্তিনিকেতন থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। অভিযোগ পেয়ে, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকার আদিবাসী পরিবারের ১৮ জন কৃষক দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় ২৪ বিঘে জমিতে ধান চাষ করছেন। তারই একটি জমিতে এ দিন বীজতলার কাজ চলছিল। নিজের জমিতে কাজ করছিলেন মালতি টুডু। অভিযোগ, ওই জমি বেআইনি ভাবে অন্যকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য, স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ট্রাক্টর নামিয়ে বীজতলা এবং পোঁতা ধান নষ্ট করে। ঘটনার প্রতিবাদ করায়, তারা এলাকায় বোমাবাজি করে। এবং জমিতে কর্মরত আদিবাসী মহিলা মালতিদেবীকে মারধর করে।
এ দিন বড়বাগান আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দা মালতি বলেন, ‘‘দুপুরের দিকে জমিতে ধান পুঁততে গিয়েছিলাম। ওই সময়ে এলাকায় তৃণমূলের লোকজন এসে মারধর করে। জমি থেকে উঠিয়ে দেয়। প্রতিবাদ করায়, ওরা বোমা ফাটাতে ফাটাতে বেরিয়ে গেল।’’
শুধু তাই নয়, পোঁতা ধান নষ্ট করারও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় আদিবাসীরা। ওই জমির চাষি সনৎ হেমব্রম, লক্ষ্মীরাম হেমব্রম, শ্যাম হেমব্রমরা জানান, বহু বছর ধরে ওই এলাকায় তাঁরা জমি চাষ করে আসছেন। দিন কয়েক আগে এলাকার তৃণমূল নেতা কাজী নুরুল হুদা ওই জমিজমা বিষয়ে নিয়ে ঘুরছেন। চাষিদের দাবি, ‘‘নুরুল অন্য কাউকে ওই জমি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’’ বাসিন্দাদের দাবি, ‘‘স্থানীয় হৃদয় ঘোষ, লুলু ঘোষ এবং কাদের ডাক্তারকে জমি পাইয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূল নেতা দীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করছে। এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ জনা তিরিশেক লোক নিয়ে ওই জমিতে গিয়ে ট্রাক্টর নামিয়ে নষ্ট করছে। প্রতিবাদ করায় এলাকায় বোমা ফাটিয়েছে।’’ এ দিন তাঁরা পুলিশের কাছে তেমনই অভিযোগ জানিয়েছেন।
এ দিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের রূপপুর অঞ্চল সভাপতি কাজি নুরুল হুদা।
তাঁর পাল্টা দাবি, ‘‘এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে বলে কোনও খবর পাইনি। তৃণমূল কোনও ভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।’’
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেউ ধরা পড়েনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy