শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের অশান্তি বাঁকুড়ায়। এ বারের ঘটনাস্থল জয়পুর ব্লক।
বোমা, গুলি নিয়ে তৃণমূলেরই একাংশের বিরুদ্ধে অন্য গোষ্ঠীর দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল। জয়পুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি ইয়ামিন শেখের নেতৃত্বেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে জয়পুরের উত্তরবাড় অঞ্চলের মুরুলিগঞ্জ এলাকায় হওয়া ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন জনা ছয়েক তৃণমূল কর্মী। মুরুলিগঞ্জেরই বাসিন্দা এই ছ’জনকে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “তৃণমূলের পার্টি অফিসে বোমা ও গুলি নিয়ে একদল লোক চড়াও হয়ে ঝামেলা করেছিল। তবে কেউই বোমা, গুলিতে জখম হননি বলে হাসপাতাল জানিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাত থেকেই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছে।’’ এই ঘটনার পরে বৃহস্পতিবার জয়পুর থানায় ইয়ামিন শেখ-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বিরুদ্ধ গোষ্ঠী। যদিও এ দিন দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ইয়ামিন অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে হামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই বলে দাবি করেছেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন খোদ যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “দলীয় কার্যালয়ে বোমা, গুলি নিয়ে হামলা মানে গোটা দলের অসম্মান করা। দলেরই একাংশ এই কাজ করল ভেবে খারাপ লাগছে। ছ’জন যুব তৃণমূল কর্মীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁদের সমস্ত রকম সরকারি ও দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানিয়েছি জেলা তৃণমূল সভাপতির কাছে।’’ দলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ বলেন, “ওই ব্লকের দলীয় সভাপতির কাছ থেকে পুরো ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। পাশাপাশি দলীয় রিপোর্টে কোনও নেতা জড়িয়ে থাকার প্রমাণ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেব।’’