Advertisement
০৩ মে ২০২৪
WB Panchayat Election 2023

মানুষের সমর্থনে জেতার দাবি বিকাশের

মিছিলের একদম সামনে মাইক বেঁধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল ও তৃণমূলের বিগত দিনে কাজের খতিয়ান দেওয়া হয় এবং তার ঠিক পিছনে প্রার্থীদের নিয়ে মিছিলে হাঁটেন বিকাশ।

শেষ বেলায় তৃনমুলের প্রচারে সোহম চক্রবর্তী সিউড়ি আলুন্দা পঞ্চায়েতের কুহুডিহি গ্রামে বৃহস্পতিবার।

শেষ বেলায় তৃনমুলের প্রচারে সোহম চক্রবর্তী সিউড়ি আলুন্দা পঞ্চায়েতের কুহুডিহি গ্রামে বৃহস্পতিবার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ০৫:২৭
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনী প্রচারের সমাপ্তিতে বৃহস্পতিবার প্রত্যেকটি জেলায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কর্মসূচিরই অঙ্গ হিসাবে বীরভূমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিউড়ির বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। আসন্ন নির্বাচনে জেলায় তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির সুফল, বিজেপির মিথ্যাচার ও জেলা জুড়ে সুষ্ঠু মনোনয়নের কথা বলেন তিনি।

বিকাশের দাবি, ‘‘দেশে তৃণমূলই একমাত্র দল, যারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে মানুষের কাছ থেকে দু'মাস ধরে জনতার পছন্দের প্রার্থীদের নাম সংগ্রহ করেছে। নেতাদের সুপারিশ মেনে কাউকে টিকিট দেওয়া হয়নি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘মাত্র দশ শতাংশেরও কম আসনে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। এই হিসেবেই প্রমাণিত যে সমস্ত রাজনৈতিক দলই বিনা বাধায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে।” তাঁর দাবি, ‘‘জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত রাজ্য সরকারের যে বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল প্রত্যেক মানুষ পাচ্ছেন, তাতে নির্বাচনের দিনেও তাঁরা ব্যাপক জনসমর্থন পাবেন এবং মানুষের পঞ্চায়েত গড়ে তুলবেন।’’বিজেপিকে আক্রমণ করে বিকাশ বলেন, “একশো দিনের কাজের আওতায় ৭৫০০ কোটি টাকা এবং আবাস যোজনার আওতায় ৮২০০ কোটি টাকা বাকি রেখেছে কেন্দ্র। তারা এখন আবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম বদলে 'নারায়ণ ভাণ্ডার' করে সেখানে মাসে ২০০০ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে৷ আমাদের একটাই প্রশ্ন, যে ১২টি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে কেন তারা এই প্রকল্প চালু করেনি?”বিজেপির বীরভূম সংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বাবন দাস বলেন, “বিজেপি কোনও টাকা আটকায়নি, শুধু চুরি আটকেছে। আমরা কোনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুকরণ করিনি। আমাদের বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, আমরা ক্ষমতায় এলে প্রত্যেক যোগ্য মহিলাকে অন্নপূর্ণার ভাণ্ডারে ২০০০ টাকা দেব।”

বৃহস্পতিবার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে আলাদাভাবে ছাপ রাখতে বিশেষ আয়োজন করেছিল তৃণমূলের। এ দিন সকালেই কড়িধ্যা পঞ্চায়েত এলাকায় আয়োজিত হল মহামিছিল। সকালে প্রত্যেকটি সংসদ থেকে প্রার্থীর নেতৃত্বে সমর্থকেরা এসে জড়ো হন ছোড়া গ্রামের মোড়ে৷ মিছিলের একদম সামনে মাইক বেঁধে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল ও তৃণমূলের বিগত দিনে কাজের খতিয়ান দেওয়া হয় এবং তার ঠিক পিছনে প্রার্থীদের নিয়ে মিছিলে হাঁটেন বিকাশ।

গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করে সিউড়ি ১ ব্লকের সামনে এসে মিছিল শেষ হয়। বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “একে বিজয় উৎসবও বলতে পারেন, মানুষের কাছে শেষ আবেদনও বলতে পারেন। কারণ আমরা জানি তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের আশীর্বাদ আছে। বীরভূম জেলায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েত তৃণমূলের ছিল, তৃণমূলেরই থাকবে।” বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বাবন দাস বলেন, “কিছু মানুষকে নিয়ে মিছিল করলে তাকে মহামিছিল বলে না। ওরা ১১ তারিখেই উত্তর পেয়ে যাবে। চোরেদের মিছিল নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE