প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন, দলকে কিছু না জানিয়ে সেই বিভীষণ হাঁসদার বাড়ি গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের এক তৃণমূল সদস্যা। তা জানতে পেরে রুষ্ট জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। শনিবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, “আমাদের কিছু না জানিয়েই ওই জেলা পরিষদ সদস্যা সোনাই মুখোপাধ্যায় বিভীষণবাবুর বাড়ি গিয়েছেন। বিষয়টি আমরা ভাল ভাবে নিইনি। আগামী দিনে এমন যাতে না করেন, সে জন্য ওই নেত্রীকে সতর্ক করেছি।”
বৃহস্পতিবার জেলা সফরে এসে বাঁকুড়া ১ ব্লকের চতুর্ডিহি গ্রামের বাসিন্দা বিভীষণবাবুর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন শাহ। তাঁর কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই বিভীষণবাবুকে দলে যোগ দিতে তৃণমূল চাপ দেবে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। তাই সোনাইদেবী বিভীষণবাবুর বাড়ি যাওয়ায় এ নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সোনাইদেবী বিভীষণবাবুর বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দেন। তাঁদের পরিবারের সমস্যার কথাও জানতে চান তিনি। বিভীষণবাবুর স্ত্রী মণিকা হাঁসদা এ দিন বলেন, “ওই জেলা পরিষদ সদস্যা বাড়িতে এসে আমাদের শাড়ি উপহার দেন। সংসারের সমস্যার কথা জানতে চান।”
সোনাইদেবী বলেন, “আমি শুনেছিলাম, বিভীষণবাবুর পরিবারে কিছু সমস্যা রয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের দলের আদর্শ। সেই কাজই করেছি। দলের কয়েকজন নেতাকে জানিয়েই গিয়েছিলাম।” তবে বাঁকুড়া ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ বাউরি বলেন, “সোনাইদেবী বিভীষণবাবুর বাড়ি গিয়েছেন শুনে অবাক হয়েছি।”
বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের কটাক্ষ, “বিভীষণবাবুর বাড়িতে অমিতজি যাওয়ার পরেই ওই তৃণমূল নেত্রী তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েছেন। আসলে তৃণমূল যা করে, সবই ভোটের স্বার্থে।” শ্যামলবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি এক দিন নাটক করছে। আর আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy