E-Paper

‘শহিদ দিবসে’ লক্ষ্য বিপুল জমায়েতের

২০০০ সালের ২৭ জুলাই স্থানীয় সুচপুরে ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুর খুন হন। সিপিএমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪ ১০:০৯
নানুর বাসাপাড়ায় শহীদ দিবসের মঞ্চ সাজানো হচ্ছে

নানুর বাসাপাড়ায় শহীদ দিবসের মঞ্চ সাজানো হচ্ছে নিজস্ব চিত্র।

রাত পোহালেই নানুরে তৃণমূলের ‘শহিদ সমাবেশ’। এ বারের সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক জমায়েতের চ্যালেঞ্জ নিয়েছে ব্লক নেতৃত্ব। মন্ত্রী মলয় ঘটক-সহ রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। স্বভাবতই, নানুর জুড়ে সাজো সাজো রব পড়ে গিয়েছে। আঁচ পড়েছে লাগোয়া পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ জেলার একাংশেও। তৃণমূলের নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, এ বারে সব থেকে বেশি জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। শুধু নানুর বিধানসভার ১৭টি পঞ্চায়েত থেকেই গড়ে ৩ হাজার করে লোক আসবেন বলে দাবি সুব্রতের।

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২৭ জুলাই স্থানীয় সুচপুরে ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুর খুন হন। সিপিএমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। পরের বছর থেকে বাসাপাড়া বাস স্ট্যান্ডে ‘শহিদ বেদি’ তৈরি করে সমাবেশের আয়োজন করতে শুরু করে তৃণমূল। রাজ্য স্তরের নেতাদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় প্রতি বছর ওই সমাবেশে হাজির থেকেছেন। গরুপাচার মামলায় জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত হাজির থেকেছেন অনুব্রত মণ্ডলও। তাঁকে অবশ্য মঞ্চে উঠতে দেখা যায়নি। ‘শহিদ বেদির’ কাছে থেকে সমাবেশ পরিচালনা করেছেন।

নানুরের ‘শহিদ দিবস’ তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ওই হত্যাকাণ্ডের ‘সহানুভূতি হাওয়া’ পালে লাগিয়ে নানুর তথা জেলায় পায়ের তলায় রাজনৈতিক মাটি খুঁজে পায় তৃণমূল। ২০০৩ সালের নির্বাচনে রাজ্যে মুষ্টিমেয় যে কয়েকটি পঞ্চায়েত তারা দখল করেছিল তার মধ্যে নানুরের থুপসড়া অন্যতম। সুচপুরে নিহত ১১ জন খেতমজুরের মধ্যে ১০ জনই ছিলেন থুপসড়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। গত বছর থেকে সমাবেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন দলের জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। অনুব্রতহীন বীরভূমে রেকর্ড সংখ্যক জমায়েত তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। পাশাপাশি রয়েছে বিতর্কও। কয়েক দিন আগেই বাসাপাড়া পার্টি অফিস থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের ছবি দেওয়া গ্লোসাইন বোর্ড সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এর ফলে অনুব্রত-অনুগামীরা ক্ষুব্ধ। কাজল বলেন, ‘‘জল্পনার কোনও ব্যাপার নেই। মেরামতের জন্যেই ওই বোর্ড নামানো হয়েছে। যথা সময়ে লাগিয়ে দেওয়া হবে। তা ছাড়া পার্টি অফিসের ভিতরেও অনুব্রত মণ্ডলের ছবি রয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Nanur TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy