মহুলার মাঠে জনসভায় মানস ভুঁইয়া। ছবি: সঙ্গীত নাগ
পাঁচ দিন আগে সভা করে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাড়া ব্লকের সেই মহুলা ফুটবল মাঠেই বুধবার পাল্টা সভা করল তৃণমূল। রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া ও মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দু’জনেই বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেও এ দিনের সভাকে পাল্টা বলতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের জেলা সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতোর দাবি, ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সমাবেশের প্রস্তুতির জন্যই এ দিন সভা করা হয়েছে।
যদিও রাজনীতি সচেতন মানুষজনের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে পুরুলিয়ায় বিজেপি যেখানেই সভা করছে, সেখানেই পাল্টা সভা করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলকে। গত শুক্রবার মহুলা মাঠে দিলীপবাবুর সভা করার পরেই সেখানে দলীয় সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। পাড়া কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক উমাপদ বাউরির দাবি, মাত্র তিন দিনের নোটিসে তাঁরা সভা করেছেন। এ দিন সভায় বিজেপির থেকে বেশি ভিড় হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব।
এ দিন সভায় ছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা জেলার মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, রঘুনাথপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি প্রমুখ। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার ওই প্রকল্পে মাত্র একশো কোটি টাকা খরচ করেছে। সেই টাকা খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপনের জন্য। সেখানে আমাদের রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পে সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা খরচ হয়েছে।”
আগের সভায় দিলীপবাবু রাজ্যে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। এ দিন চন্দ্রিমা পাল্টা দাবি করেন, ‘‘কেন্দ্রে সরকারে আসার আগে বিজেপি ইস্তাহার ছাপিয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে সব তারা পূরণ করতে পারেনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারেননি।” বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশে পুলিশ কর্মীকে গুলি করে খুনের প্রসঙ্গ তুলে এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার তুলনা টেনে চন্দ্রিমা দাবি করেন, ‘‘বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্য ও আইন-শৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।’’
অন্যদিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী তৃণমূলের এ দিনের সভাকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে পুরুলিয়ায় আমরা এখন স্কুলের ‘ফার্স্ট বয়’। তৃণমূল দ্বিতীয়। তাই যেখানে আমরা আগে সভা করছি, তৃণমূল পরে সেখানেই সভা করতে বাধ্য হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy