Advertisement
০৫ মে ২০২৪
UNESCO world Heritage site

শুধু ‘অপা’ নয়, ‘বিতর্কিত’ সেই ফলকও দ্রষ্টব্য 

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এক বছরের বেশি জেলে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের নামে, বেনামে একাধিক সম্পত্তির হদিসও মিলেছে।

ফলকের ছবি তুলছেন উৎসাহী পর্যটক। শুক্রবার শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রভবনের সামনে।

ফলকের ছবি তুলছেন উৎসাহী পর্যটক। শুক্রবার শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রভবনের সামনে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

বাসুদেব ঘোষ 
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:১৪
Share: Save:

অর্পিতা-পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘অপা’ ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের নামে থাকা ‘দোতারা’ বাড়ির মতোই এখন পর্যটকদের কাছে আর এক দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে বিশ্বভারতীতে সম্প্রতি লাগানো স্বীকৃতি ফলক। স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে পর্যটকেরা— প্রতি দিনে সেখানে ভিড় জমানোর পাশাপাশি হাতে স্মার্টফোন নিয়ে তুলছেন নিজস্বী। আর এই সুবাদে ভাল আয় হচ্ছে এলাকার টোটো চালকদের।

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় এক বছরের বেশি জেলে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের নামে, বেনামে একাধিক সম্পত্তির হদিসও মিলেছে। এর মধ্যে শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙা এলাকায় অর্পিতা-পার্থর নামে কেনা ‘অপা’ বাড়িও আছে। এর পরেই বাড়িটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পরে শান্তিনিকেতনে তাঁর মেয়ের নামে থাকা ‘দোতারা’ বাড়িটিও সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। সেখানেও পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন।

ইউনেস্কো শান্তিনিকেতনের একটি অংশকে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্রে হিসেবে ঘোষণার পরে বিশ্বভারতীতে বেশ কিছু জায়গায় ফলক বসানো হয়েছে। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম থাকলেও রবীন্দ্রনাথের কোথাও নাম নেই। যা নিয়ে লাগাতার বিতর্ক চলছে। এ নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালও। এর পরেই শান্তিনিকেতনের অন্য দ্রষ্টব্যগুলির পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ফলকও। যা থেকে বাড়তি রোজগারও হচ্ছে টোটো চালকদের।
শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসা পর্যটক শুভাশিস সিংহ, মৈত্রী মজুমদার, শুভ্রা দাসেরা বলেন, ‘‘ফলক নিয়ে লাগাতার বিতর্ক চলছে। শান্তিনিকেতন ঘুরতে এসেছিলাম। ভাবলাম যে ফলক
নিয়ে এত বিতর্ক, সেই ফলক এক বার দেখে যাই।’’

টোটো চালক সেলিম মোল্লা, সঞ্জীব দাসেরা বলেন, “যে সমস্ত পর্যটক আগে শান্তিনিকেতন এসেছেন, তাঁরা বিতর্কিত ফলক দেখতে
আবারও শান্তিনিকেতন আসছেন। আমরাও তাঁদের নিয়ে যাচ্ছি। এতে আমাদের রোজগারও বাড়ছে।”
তবে টোটো চালকেরা জানান, ফলকগুলি ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনও ভাড়া নেই। যে যেমন পারছেন দিচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Shantiniketan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE