Advertisement
১৭ মে ২০২৪
COVID-19 vaccine

টিকার জন্য চলল মহড়া 

সপ্তাহখানেকের মধ্যে জেলায় টিকা আসতে পারে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য-কর্তাদের অনেকেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:০৭
Share: Save:

করোনা টিকাকরণের মহড়া (ড্রাই রান) হয়ে গেল পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। শুক্রবার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার তিনটি করে জায়গায় ওই মহড়া হয়। পুরুলিয়ায় মহড়া হয়েছে তিন জায়গায়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। দ্বিতীয় দফায় পাবেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীরা। ইতিমধ্যেই তেমন লোকজনের নাম, ঠিকানা ও অন্য তথ্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় যাঁরা টিকা পাচ্ছেন, তাঁদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে সে কথা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে জেলায় টিকা আসতে পারে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্য-কর্তাদের অনেকেই।

পুরুলিয়ায় টিকাকরণের দায়িত্বে রয়েছেন জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বুদ্ধদেব মণ্ডল। তিনি জানান, প্রথম পর্বে ১৫,৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে। জেলা সদরের পাশাপাশি, টিকা দেওয়ার জন্য মহকুমা হাসপাতাল, গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পুরসভা মিলিয়ে মোট ৪১টি জায়গা চিহ্ণিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য-কর্তাদের থেকে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলায় প্রায় ১৭ হাজার ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলায় ৫,৮১২ জন স্বাস্থ্যকর্মী প্রথম দফায় টিকা পাবেন। বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলায় প্রায় ৬০টি ও বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য -জেলায় ৩৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ হবে। দু’টি স্বাস্থ্য-জেলার প্রত্যেক টিকাকেন্দ্রে পাঁচ জন করে ভ্যাকসিনেশন অফিসার থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

কী ভাবে টিকা দেওয়া হবে, এ দিন সেই মহড়া হয়। বাঁকুড়া জেলার স্বাস্থ্য-কর্তারা জানান, টিকাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে তালিকা থাকবে। সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে হবে প্রাপকদের। তালিকার সঙ্গে তা যাচাই করে ঢুকতে দেওয়া হবে। ‘থার্মাল গান’ দিয়ে শরীরের তাপ মেপে, নিয়ে যাওয়া হবে অপেক্ষাকক্ষে। টিকা নেওয়ার পরে, তিরিশ থেকে পঁয়তাল্লিশ মিনিট রাখা হবে পর্যবেক্ষণে। তার মধ্যে কোনও সমস্যা দেখা দিলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। না হলে, পরবর্তী সময়ে করণীয় বুঝিয়ে ছেড়ে দেওয়া হবে। ফের ২৮ দিন পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকা নেওয়ার ডাক পড়বে। পুরুলিয়ার কয়েকজন স্বাস্থ্য-কর্তা জানান, ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণ করতে হয়। সে পরিকাঠামোও তৈরি হয়েছে সর্বত্র।

এ দিন পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও, মহড়া হয় ঝালদা ও জয়পুরে। পুরুলিয়া মেডিক্যালে মহড়ায় হাজির ছিলেন জেলাশাসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (‌জেলা পরিষদ) আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত ও মেডিক্যালের সুপার সুকোমল বিষয়ী। গোটা প্রক্রিয়া দেখার জন্য হু-এর প্রতিনিধিও এ দিন জেলায় হাজির ছিলেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

বাঁকুড়া স্বাস্থ্য-জেলার মহড়া হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যাল, ডেপুটি সিএমওএইচ-এর (৩) অফিস ও আঁচুড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য-জেলার মহড়া হয় বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতাল, বিষ্ণুপুর নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও জয়পুর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ব্যবহার করা হয়েছে নকল ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ও তালিকা। পর্যবেক্ষণে থাকাকালীন কেউ অসুস্থ হলে কী করতে হবে, তা বোঝানো হয়। বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন ও বিষ্ণুপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “আমরা সব রকম ভাবেই প্রস্তুত রয়েছি। টিকা আসলেই দ্রুত তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

COVID-19 vaccine Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE